জলপাইগুড়ি: বাবার সঙ্গে রাগারাগি করে ঢুকে পড়েছিল। এরপর কাজের সন্ধানে পাড়ি দিয়েছিলেন চেন্নাইতে। কিন্তু পরিবার খোঁজ পাচ্ছিল না। প্রায় পনেরো বছর পর ভারতীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাত ধরে ছেলেকে ফিরে পেলেন ভুটানের পরিবার।
ফোনসে ওয়াংদি। বাড়ি ভুটানের থিম্পুতে। বাবার সঙ্গে রাগারাগি করে তিনি সামচি থেকে ভারতে ঢুকে পড়েছিলেন এ দেশে। বাবা নামগে ওয়াংদি অনেক খোঁজ করেও ছেলের হদিস পাননি। এদিকে, ভারতে ঢুকে চেন্নাইয়ে একটি রেস্তোঁরায় কাজ নেয় ফোনসে ওয়াংদি। কিন্তু করোনার সময় কাজ হারিয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। লকডাউনের কারণে পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পরিবারের সঙ্গেও।এক সময় পরিবার ভেবে নিয়েছিল ছেলে হয়ত আর নেই।
ভবঘুরে অবস্থায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখে চেন্নাইয়ের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাকে উদ্ধার করে। এরপর একটি মানসিক হাসপাতালে প্রায় ছয় মাস তাঁর চিকিৎসা চলে। পরবর্তীতে মুম্বইয়ের আরও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাঁকে মুম্বইয়ে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করায়। তাদের হাত ধরেই ফোনসে এদিন বাড়ি ফিরল। ছেলেকে ফিরে পেয়ে রীতিমতো খুশির হাওয়া পরিবারে। ওই যুবককে ভারত ভুটান সীমান্ত চামুর্চি ভুটান গেটের সামনে এসএসবির উপস্থিতিতে পরিবারের হাতে নিখোঁজ সন্তানকে পরিবারের হাতে তুলে দেয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।
এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে সমর বসাক ও নিখিলেশ সাঙ্গাদা জানান,”স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও এসএসবি ১৭ ব্যাটালিয়নের সহযোগিতায় ফোনসে ওয়াংদিকে তাঁর বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত কাগজপত্র মিলিয়ে দেখে পরিচিতি নিশ্চিত করার পরই জলপাইগুড়ি থেকে ফোনসেকে ফেরানো হয়েছে। প্রায় ১৫ বছর পর বাবার সঙ্গে দেখা হয় ছেলের। ছেলেকে ফিরে পেয়ে বেজায় খুশি বাবা নামগে ওয়াংদি। জানালেন,”এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।”