জলপাইগুড়ি: কিছুদিন আগেই বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি হয়েছেন চিকিৎসক ইন্দ্রনীল খাঁ। তাই দায়িত্ব অনেক। তারপর সামনে আবার পৌর ভোট। সেই কারণে বাড়তি একাধিক কাজ। সঙ্গে রয়েছে প্রচারও। তবে সব কাজ সামলেও পৌর ভোটের আগে শাসকদলকে বিঁধতে ছাড়লেন না তিনি। সাফ-সাফ জানালেন, “যদি গত পঞ্চায়েত ভোটের মতো আসন্ন পৌর নির্বাচনে বুথে বুথে উন্নয়ন দাঁড়িয়ে থেকে বুথ দখল করে, তবে মানুষ এবার তার গণ প্রতিরোধ করবে।”
বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি হিসেবে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন ডাক্তার ইন্দ্রনীল খাঁ। দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি জেলাসফরে বেরিয়ে রবিবার এসে পৌঁছন জলপাইগুড়িতে। এদিন তাঁকে জলপাইগুড়ি জেলার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর জেলা কার্যালয়ে যুব মোর্চার নেতাদের সঙ্গে আসন্ন পৌর নির্বাচন এবং ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন নিয়ে জেলার কর্মীদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠক শেষে মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। এরপর কড়া ভাষায় শাসকদলের উদ্দেশে জানান,” আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন শাসকদলের পক্ষ থেকে যদি বুথ দখল করতে আসে তবে আমরা সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গণ প্রতিরোধ গড়ে তুলব। আগামীতে আমরা জলপাইগুড়ি জেলাকে একটি মডেল জেলা হিসেবে তুলে ধরতে চাই। তাই এই জেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা একটি ভিশন ডকুমেন্ট তৈরি করার চেষ্টায় রয়েছি। যা আগামীদিনে প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করা হবে। রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। বেকারত্বের জ্বালায় যুব সমাজ ভুগছে। এই কারণে ভিন রাজ্যে কর্মসংস্থানের জন্য চলে যাচ্ছেন সকলে। স্কুল-বন্ধ, পানশালা খোলা। যুব সমাজের দাঁড়িয়ে আছে শিক্ষার উপর। কিন্তু শিক্ষা আয়তন বন্ধ। মানুষ চাকরি চাইবে তারও উপায় নেই। টেট, আপার প্রাইমারি সব কিছুতে দুর্নীতি। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে যতবারই আমরা কাজ করতে যাই তখনই বাধাপ্রাপ্ত হই। এই হলো বর্তমান রাজ্য সরকারের হাল।”
তবে বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলের জলপাইগুড়ির বিধায়ক ডাক্তার প্রদীপ কুমার বর্মা। তিনি বলেন, “এসব শিশু সুলভ মন্তব্য। মানুষ যেমন বিধানসভায় তৃণমূলকে আশীর্বাদ করেছে। পৌরসভা নির্বাচনেও তেমন ভাবে আশীর্বাদ করবে।”