Dhupguri: ধূপগুড়ি মহকুমা হচ্ছে শুনে বিজেপি সাংসদের টিপ্পনি, ‘শতবার্ষিকী পরিকল্পনা’; পাত্তাই দিল না তৃণমূল

Nileswar Sanyal | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 12, 2023 | 8:55 AM

Dhupguri: সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা যেহেতু ভোটের আগে বলেছিলাম মহকুমা হবে। ধূপগুড়ি শহর, গ্রামীণ ও বানারহাটের কিছুটা অঞ্চল নিয়ে সাবডিভিশন হচ্ছে ধূপগুড়ি। সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে।"

Dhupguri: ধূপগুড়ি মহকুমা হচ্ছে শুনে বিজেপি সাংসদের টিপ্পনি, শতবার্ষিকী পরিকল্পনা; পাত্তাই দিল না তৃণমূল
সাংসদ জয়ন্তকুমার রায় ও প্রাক্তন সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মন।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

জলপাইগুড়ি: ধূপগুড়িবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়িত হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। ভোটের আগে কথা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। সোমবার সেই আশ্বাসে পড়ল সিলমোহর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন মহকুমা হচ্ছে ধূপগুড়ি। যদিও তাঁর এই ঘোষণাকে শতবার্ষিকী পরিকল্পনা বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি সাংসদ জয়ন্তকুমার রায়। তাঁর দাবি, ঘোষণাই সার। আগামী ১০০ বছরেও ধূপগুড়ি মহকুমা হবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

পঞ্চায়েত ভোটের পর রাজ্য রাজনীতির ফোকাসে ছিল ধূপগুড়ির উপনির্বাচন। উত্তরের এই বিধানসভা কেন্দ্রে সর্বশক্তি দিয়েই ঝাঁপিয়েছিল শাসক-বিরোধী সবপক্ষ। গত ২ সেপ্টেম্বর প্রচারে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ধূপগুড়ি মহকুমা হবে। তিনমাসের মধ্যে মহকুমা হবে। যদিও তিনমাস সময় নেয়নি শাসকদল।

বিধানসভা কেন্দ্র বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার তিনদিনের মধ্যে প্রতিশ্রুতি পালন করল তৃণমূল সরকার। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা যেহেতু ভোটের আগে বলেছিলাম মহকুমা হবে। ধূপগুড়ি শহর, গ্রামীণ ও বানারহাটের কিছুটা অঞ্চল নিয়ে সাবডিভিশন হচ্ছে ধূপগুড়ি। সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে।”

প্রায় ১০ বছর ধরে ধূপগুড়িবাসীর এই দাবি ছিল। কারণ, যে কোনও প্রশাসনিক কাজে তাঁদের দীর্ঘ পথ পার করে জলপাইগুড়ি যেতে হয়। এবার তা এলাকাতেই হবে। তবে বিজেপি সাংসদ জয়ন্তকুমার রায়ের টিপ্পনি, “ঘোষণা তো হল। সে তো এখানে উত্তরকন্যার সময়ও বলা হয়েছিল মিনি রাইটার্স বিল্ডিং হবে। মিনি রাইটার্স বিল্ডিংয়ের হাল তো দেখছেন সকলে। ফলে এদের উপর বিশ্বাস করাটা মুশকিল। এখানে ভোরের আলো একটা প্রকল্প হয়েছে। এগুলো তো সব শতবার্ষিকী পরিকল্পনা। দেখব ১০০ বছর পর হচ্ছে। ধূপগুড়িটা বলতে পারছি না।”

যদিও পাল্টা বিজেপিকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূলও। প্রাক্তন সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মন বলেন, “তৃণমূল যে কথা বলে তা রাখে। কে কী বলল তাতে কিছু আসে যায় না। আগে মালবাজারও মহকুমা হয়েছে। বানারহাটও ব্লক হয়েছে। আর বিজেপি সাংসদকে তো দেখাও যায় না। মানুষ নানা প্রশ্ন করেন ওনাকে নিয়ে।”

Next Article