কলকাতা: ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর তৃণমূল শিবির শেষ হাসি হেসেছে। অনেকেই বলেছেন প্রচারের শেষবেলায় অভিষেকের ‘তাস’ই কাজে লেগেছে। ধূপগুড়ির মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির কথা মাথায় রেখে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলে এসেছিলেন, তিন মাসের মধ্যে মহকুমা হবে ধূপগুড়ি। নির্বাচনের ফলাফলের তিন দিন পরই সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “ধূপগুড়ি মহকুমা হবে। আজই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা যা করার করে দেব।” মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই উৎসবের মেজাজ ধূপগুড়ি জুড়ে।
আজ সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ধূপগুড়ি ও বানারহাটের কিছুটা অংশ নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ধূপগুড়ি মহকুমা। আজই মন্ত্রিসভায় সেই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেই মতো প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। বিদেশ সফর শেষে ফিরেই বিষয়টাতে নজর দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিন তিনি বারবার বলেছেন, কথা দিয়েছিল তাঁর দল, তাই কথা রাখা হচ্ছে। ধূপগুড়ি টাউন, গ্রামীণ অঞ্চল ও বানারহাটের কিছুটা অঞ্চল নিয়ে মহকুমা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিকেল ৪টেয় নবান্নে এই সাংবাদিক বৈঠক হওয়ার পরই খুশির হাওয়া ধূপগুড়িতে। আশা দেখছেন সাধারণ মানুষ। সেখানকার বাসিন্দারা বলছেন, মহকুমা হলে মিটবে অনেক সমস্যাই। তাঁদের আশা, মহকুমা হাসপাতাল তৈরি হবে, ফলে চিকিৎসার জন্য আর দূরে যেতে হবে না। কেউ কেউ এদিন রাস্তায় বাজি ফাটিয়ে, গান বাজিয়ে উদযাপন করেন। মনে করা হচ্ছে, মহকুমা গঠন এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং এই প্রসঙ্গে বলেন, “তৃণমূল যা বলে সেটা করে দেখায়। আমরা তিন মাস সময় চেয়েছিলাম। তার আগেই করে দেওয়া হল। বিজেপি নেতারা এই নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। কিন্তু ধূপগুড়ির মানুষ যে ভাবে কথা রেখেছে, তৃণমূলও কথা রেখেছে। এটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রতিশ্রুতি ছিল, আর সেই কথা রাখলেন মমতা।”