জলপাইগুড়ি: কামড়া-কামড়ি বিতর্কে তোলপাড় হয়েছে কলকাতা। আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীদের হাতে কামড় দেওয়ার অভিযোগ বিরল। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের একে অপরকে কামড়ে দেওয়ার সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সরব হয়েছে বিরোধীরা। জলপাইগুড়িতে একটি বিক্ষোভ সভায় বিজেপির টাউন মণ্ডলের সভাপতি মনোজ শা-কে দেখা যায় হাতে ইঞ্জেকশন নিয়ে ঘুরতে। পরে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানালেন, পাছে পুলিশ কামড়ে দেয় সেই ভয়ে টেটভ্যাক ইঞ্জেকশন নিয়ে হাঁটলেন।
শনিবার একটি বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে বিজেপি। একাধিক ইস্যুতে সরব হন নেতারা। রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্য করার প্রতিবাদে অখিল গিরির পদত্যাগও দাবি করেন তাঁরা। এরপর জলপাইগুড়ি কদমতলা মোড় অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
এরপর বিজেপির টাউন মণ্ডলের সভাপতি মনোজ শা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরি। আমরা তাঁকে ধিক্কার জানাচ্ছি। একইভাবে তার অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি। এরপর তিনি বলেন, ‘রাজ্যের মেধাবী ছাত্রদের চাকরি বিক্রি করে দিয়েছে তৃণমূল নেতারা। পুলিশের বাধার মুখে পড়ছেন তাঁরা। প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ কামড়ে দিচ্ছে। পাছে পুলিশ আমাদেরকেও কামড়ে দেয়। তাই আমরা আজ সকলে টেটভ্যাক ইঞ্জেকশন নিয়ে এসেছি বলে দাবি করেন তিনি।’
কামড়া-কামড়ি বিতর্ক কী?
চলতি সপ্তাহের বুধবার অর্থাৎ ৯ নভেম্বর ক্যামাক স্ট্রিট চত্বরে টেট চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলন করতে থাকেন। সেই সময় বিক্ষোভকারীদের হঠাতে গেলে এক অরুণিমা পাল নামে এক আন্দোলনকারী পুলিশের হাতে কামড়ে দেন। তবে শুধু আন্দোলনকারীই নয়, পুলিশেরও পাল্টা অভিযোগ, কামড়ে দেওয়া হয়েছে কনস্টেবলকে।
বুধবার থেকেই সংবাদমাধ্যমে সামনে এসেছে আন্দোলনকারী অরুণিমা পালের ছবি ও ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যাচ্ছে, অরুণিমা হাত বাড়িয়ে দেখাচ্ছেন, ঠিক কোথায় পুলিশ কামড়ে দিয়েছে। তাঁর হাতে ক্ষতচিহ্ন স্পষ্ট।পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে যখন বিরোধীরা তোপ দাগতে শুরু। তখন পুলিশও সামনে আনে সেই মহিলা কনস্টেবলের হাতের ছবি। যাঁর বিরুদ্ধে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ, তাঁর হাতেও কামড়ের দাগ রয়েছে বলে পাল্টা দাবি পুলিশের। এই কামড়া-কামড়ির ঘটনার পর এদিন প্রতিবাদে সরব হয় বিজেপি।