ধূপগুড়ি: ‘সে ছিল তখন উনিশ…’ নচিকেতার অন্যতম জনপ্রিয় একটি গান। প্রেম যে বয়সের বাঁধ মানে না, তা সেই গানেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই বাঁধ না মানা প্রেমের জোয়ারে ভেসেই মর্মান্তিক পরিণতি ধূপগুড়িতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৯ বছর বয়সি এক কিশোরীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ৬৫ বছর বয়সি এক বৃদ্ধ। কিন্তু সেই সম্পর্ক পরিবারের কেউ মেনে নিচ্ছিলেন না। এরপরই শনিবার সকালে বাড়ির উঠোন থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ ও কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা কেউ মেনে না নেওয়ার কারণেই শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বৃদ্ধ ও কিশোরী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ষাটোর্ধ্ব ওই বৃ্দ্ধের বাড়ির অদূরেই থাকতেন বছর উনিশের ওই কিশোরী। বৃদ্ধের স্ত্রী এখনও জীবিত। বাড়িতে পাঁচ সন্তানও রয়েছে। এমন অবস্থায় বৃদ্ধ ও কিশোরীর এই সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই এলাকায় বিভিন্ন ধরনের কানাঘুষো শুরু হয়ে যায়। কিশোরীর বাবা-মা কিংবা বৃদ্ধের বাড়ির লোকজনও এই সম্পর্ক নিয়ে ঘোর আপত্তি তুলেছিলেন। পরিবারের কারও সম্মতি না থাকায়, দু’দিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর শনিবার সকালে বৃদ্ধের বাড়ির উঠোনে গাছের থেকে দু’জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
দেহ উদ্ধারের খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানায় এবং পুলিশ এসে দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে করা হলেও, কী কারণে দু’জনের মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা।