জলপাইগুড়ি: জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে পূর্ণ্যার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিকল্প উপায়ে জল ঢালার ব্যবস্থা করার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জানিয়েছেন, শ্রাবণ মাসের আগামী দুই রবিবার ও সোমবার জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে পুণ্যার্থীরা ঢুকতে পারবেন না। মন্দিরের বাইরেই থেকেই জলঢালাতে হবে ভক্তদের। এমনই নির্দেশ আদালতের। জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিচারপতির নির্দেশ, মন্দিরের বাইরে তিনটি জায়গায় ভক্তদের জল ঢালার ব্যবস্থা করতে হবে। সেই জল চ্যানেলের মাধ্যমে গর্ভগৃহে পৌঁছবে।
জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢোকার পথ অপ্রশস্ত এবং শ্রাবণ মাসের সোমবার প্রবল ভিড়ের কারণে পূর্ণ্যার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এই মর্মে হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিটে মামলা দায়ের করেছিলেন জলপাইগুড়ির এক বাসিন্দা। সেই মামলা গ্রহণ করে আদালত। শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্দির কমিটির সম্পাদক এবং জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিদের তলব করেন। এই মামলার শুনানি হয়। তার পরই এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। গত রবিবার রাতে জল্পেশ মন্দিরে যাওয়ার পথে পিকআপ ভ্যানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১০ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছিল। মন্দিরে ঢোকার পথেও ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অনেকে। তার পরই আলোচনায় উঠে আসে জল্পেশ মন্দিরের জল ঢালতে গিয়ে ভক্তদের বিভিন্ন সমস্যার কথা।
হাইকোর্টের নির্দেশে যা বলা হয়েছে-
বিষয়টি নিয়ে সরকারি আইনজীবী বিক্রমাদিত্য ঘোষ বলেছেন, “ এক পূর্ণ্য়ার্থী জল্পেশ মন্দিরে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি আদালতে মামলা করেছিলেন। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই রবিবার ও সোমবার জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে পূর্ণ্য়ার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না। যে সকল পূর্ণ্য়ার্থীরা আসবেন, তাঁরা বাইরে একটি বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে জল ঢালতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।“
আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে মন্দির কমিটি। কমিটির সম্পাদক গিরিন্দ্রনাথ দেব বলেছেন, “পূর্ণ্যার্থীরা রবিবার রাত ২টো থেকে সোমবার বিকেল ৪ টের মধ্যে মন্দিরে এসে জল ঢালতে পারবে। কিন্তু মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। মন্দির চালাতে বিভিন্ন খাতে বছরে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়। পূর্ণ্য়ার্থীরা যে টিকিট কেটে মন্দিরে ঢোকেন তা থেকে এই খরচের একটা বড় অংশ ওঠে। এখন তা ধাক্কা খাবে।“