জলপাইগুড়ি: সজোরে ছুটছিল একটি বোলেরো গাড়ি। তুমুল গতিতে ছিল সেটি। নাকা চেকিং এর জন্য পুলিশ আধিকারিক গাড়ি দাঁড় করান। তারপরই বিস্ফোরক ঘটনা। গাড়ির সিটের নিচে…
জলপাইগুড়ির ঘটনা। সেখানেই পর্যটক সেজে এক মহিলা সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। ধৃত তিনজনই ত্রিপুরার বাসিন্দা। তাঁদেরকে গ্রেফতার করেছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ।
জানা গিয়েছে, বোলেরো গাড়িটিতে নকল নম্বর প্লেট লাগান ছিল। তারপর লুকিয়ে সেটি শিলিগুড়িতে পাচারের উদ্দেশে যাচ্ছিল। এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৩১ নং জাতীয় সড়কের বিবেকানন্দ পল্লী এলাকা থেকে গাঁজা সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। ধৃতদের রবিবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে হাজির করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই বিষয়ে পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘পুলিশের থেকে রিপোর্ট এসেছিল আপনি যান তদন্ত করে দেখুন। তারপর আমরা ঘটনাস্থলে যাই গিয়ে দেখি একটি সিটের নিচে গাঁজা ছিল।’
বস্তুত, কলকাতা থেকেও মাদক পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েন একজন। বাংলাদেশে পাচার হওয়ার আগেই এসটিএফ এবং রাজারহাট থানার যৌথ হানায় একটি লারি ও একটি ৪০৭ গাড়ি ভর্তি ফেনসিডিল ও মাদক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় এক জনকেও। বাকিরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতকে বারাসত আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজারহাট থানার খড়িবেড়িয়া এলাকায় এসটিএফ এবং রাজারহাট থানার পুলিশ সমস্ত গাড়ি চেকিং করতে থাকে। সেই সময় একটি লরি ও একটি ৪০৭ গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৯৯০০ বোতল ফেনসিডিল ও মাদক ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছে।
গাড়ি দু’টিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ৪০৭ গাড়ির চালক ফিরোজ গাজিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত গাড়ি চালকের বাড়ি বাদুড়িয়ায়। বাকিরা পালিয়ে যায়। বাকিদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ।