INTTUC Clash- তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের গোষ্ঠী সংঘর্ষে তুলকালাম, মারপিট থামাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশকর্মী

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 01, 2021 | 12:23 PM

NJP Station: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্য করে পুলিশ।

INTTUC Clash- তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের গোষ্ঠী সংঘর্ষে তুলকালাম, মারপিট থামাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশকর্মী
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ

Follow Us

জলপাইগুড়ি: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তুলকালাম NJP(নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ) স্টেশন। INTTUC-র দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বাঁধে দ্বন্দ্ব। ভাঙচুর করা হয় স্টেশন। সঙ্গে ভাঙচুর করা হয় গাড়ি ও মোটর বাইক। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশের লাঠিচার্য।

আজ সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বচসা বাধে। এরপর শুরু হয় মারপিট। লাঠি দিয়ে গাড়ি ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে। পরে এলাকায় পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্য করে পুলিশ। আহত হন এক পুলিশকর্মী। তাঁকে ইতিমধ্যে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছিল?
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন রোড এলাকায় শ্রমিক তহবিলের জন্য টাকা তোলা হয়। বিভিন্ন ট্রাক সহ অন্যান্য গাড়ি থেকে এই টাকা তোলা হয়ে থাকে। এবার এই টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে এলাকা দখলের গন্ডোগোল হয়। সূত্রের খবর, আজ সকালবেলা এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে ফের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডোগোলের সূত্রপাত ঘটে। কর্মী সমর্থকদের একাংশের অভিযোগ, জনৈক এক বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার মদতেই তার অনুগামীদের জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে গোটা এলাকার পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন জেলা থেকে শাসক দলের এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের খবর উঠে আসে প্রতিদিন। গতকাল বাঁকুড়ার  মান্ডি গ্রামে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে মৃত ১। মৃতের নাম বিপ্লব রায়। ঘটনা ঘিরে তীব্র উত্তজেনা এলাকায়। গ্রামে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে তালড়াংড়া থানার পুলিশ। তাদের খাতড়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে।

পরিবারের দাবি, শনিবার রাত দশটা নাগাদ মান্ডি গ্রামের রাস্তার ধারে কয়েক জনের সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন পেশায় কৃষি সেচ দফতরের কর্মী বিপ্লব রায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, আচমকাই কয়েকজন লাঠি নিয়ে বিপ্লব রায়ের ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে গুরুতর জখম হন বিপ্লব রায়। গুরুতর আহত অবস্থায় পরবারের লোকজন বিপ্লব রায়কে উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

পরিবারের দাবি, রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল নিয়ে তৃনমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিল। তার জেরেই খুন হয়েছেন বিপ্লব রায়। তালডাংড়া থানার পুলিশ প্রথমে এই ঘটনায় যুক্ত থাকার সন্দেহে চার জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে ওই চার জন-সহ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। তৃনমূল নেতৃত্বের দাবি, বিপ্লব রায়ের ওপর হামলাকারীরা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীর গোষ্ঠী। বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী তৃনমূলের নয়, তিনি বিজেপি র হয়ে কাজ করেন। তৃনমূলের দাবি, বিজেপির নেতৃত্বই এই হামলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: LPG Cylinder Price: আর মহার্ঘ গ্যাস, একধাক্কায় দাম বাড়ল ২৬৬ টাকা

Next Article