জলপাইগুড়ি: ভোরের আলো তখনও ফোটেনি। অন্ধকারের মধ্যেই তখন এলাকায় ঢুকেছিল কয়েকজন দুষ্কৃতী। এলাকাবাসীদের অভিযোগ গরু চুরি করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল। যদিও, বাড়ি লোক টের পেতেই পালিয়ে যায় সকলে। বাকি থেকে যায় একজন। পরে আলো ফুটলে বাকি একজনকে ধরে নেয় সকলে। তারপর চলতে থাকে গণপিটুনি। মারামারির জেরে মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের ঘটনা। মঙ্গলবার গভীর রাত্রে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার কুকুরযান অঞ্চলের বড়ুয়া পাড়ায় গরু চুরি করতে ঢোকে কয়েকজন দুষ্কৃতী। এরপর বাড়ির লোক টের পেতেই ধাওয়া করে তাদের। প্রত্যেকে মোটামুটি পালিয়ে গেলেও একজন লুকিয়ে পড়ে স্থানীয় একটি চা বাগানে।
পরে স্থানীয় বাসিন্দা ওই চা বাগান ঘিরে রাখে। এরপর ভোরের আলো ফুটলে চা বাগান থেকে উত্তেজিত জনতা তাকে খুঁজে বের করে নিয়ে আসে। পরে চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করে। সেই মারধরের জেরেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় রাজগঞ্জ থানাক পুলিশ। ইতিমধ্যে আটক হয় বেশ কয়েকজন।ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘পিটিয়ে খুনের অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিককে।’
উল্লেখ্য, গরুপাচার নিয়ে ইতিমধ্যে উত্তাল হয়েছে রাজ্য। একের পর এক পাচারকারীকে লাগাতার পাকড়াও করেছে পুলিশ আধিকারিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার পুরুলিয়ায় দুধের ট্রাক উল্টে দুধের জায়গায় বের হয় গরু। অভিনব কায়দায় হচ্ছিল সেই পাচার তেমনটাই জানিয়েছে এলাকাবাসী। স্থানীয় সূত্রে খবর, পুরুলিয়া বাঁকুড়া সীমান্তে বিশপুরিয়ার কাছে দুধের একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এবার ট্রাকটিকে উল্টে যেতে দেখে স্বাভাবিকভাবেই ভিড় জমান এলাকাবাসী। তবে ট্রাকটি উল্টে পড়ার পরই খুলে যায় ডালা। তখনই চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। দেখা যায় ভেতরে বেঁধে রাখা অবস্থায় রয়েছে অনেকগুলি গরু। কয়েকটি গরু মারাও যায়।
ঘটনার পর তৎপর হয় এলাকাবাসী। তাঁরাই গরুগুলিকে উদ্ধার করে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। যদিও, ট্রাক চালকের কোনও হদিশ মেলেনি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গরুগুলিকে আদৌ পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল নাকি অন্য কোনও কাজে গোটার বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।