Death during immersion: বারো বছরের উর্মি গিয়েছিল উমাকে বিদায় জানাতে, মর্গে তার নিথর শরীর খুঁজে পেল পরিবার

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 06, 2022 | 2:10 PM

Death during immersion: মালবাজার উত্তর কলোনিতে উর্মি সাহার বাড়িতে আজ কেবলই কান্নার রোল।

Death during immersion: বারো বছরের উর্মি গিয়েছিল উমাকে বিদায় জানাতে, মর্গে তার নিথর শরীর খুঁজে পেল পরিবার
নিহত বালিকার পরিবারের সদস্য

Follow Us

জলপাইগুড়ি: বারো বছরের উর্মি। বাড়ির লোকের সঙ্গে গিয়েছিলেন উমাকে বিদায় জানাতে। নিরঞ্জন যাত্রা দেখার ইচ্ছা ছিল তার। গত দু’বছরেও বায়না করেছিল, কিন্তু হয়নি। এবার তাই ছোট্ট উর্মিকে নিয়ে গঙ্গায় নিয়ে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু প্রতিমার সঙ্গে মাল নদীর অনেকটাই কাছাকাছি চলে গিয়েছিল সে। হড়পা বান ভাসিয়ে নিয়ে গেল তাকেও। যখন তাকে পাওয়া গেল, শরীর নিথর। বুধবার অভিশপ্ত সন্ধ্যায় হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছে বারো বছরের এক মেয়ের, মৃত্যু হয়েছে তার আত্মীয়েরও। মালবাজার উত্তর কলোনিতে উর্মি সাহার বাড়িতে আজ কেবলই কান্নার রোল।

উর্মির মামা বলেন, “আমরা যখন গিয়েছিলাম, নদীতে নামলায়, সব ঠিক ছিল। সেই জায়গায় সেভাবে জল ছিল না। পরে সেখানে জল চলে আসে। আমার বৌদি আর আমার ভাগ্নির মৃত্যু হয়েছে। আমরা তো কাউকে খুঁজেই পাচ্ছিলাম না। আমরা প্রশাসনকে বলি। তারপর মাইকিং করে। আমরা সিভল ডিফেন্সের কর্মীদের বলি, ওরাও মাইকিং করে। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে উদ্ধারকার্যে কোনও সাহায্য পাইনি। আমি শুধু হাসপাতালে দেহ দেখতে পাই।”

প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। উর্মির পরিবার কেউ ভাসানে যাননি, তাঁরা গিয়েছিলেন প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা দেখতে। কিন্তু তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন একেবারে নদীর মাঝে। তাঁদেরকেও পুলিশ প্রশাসনের চরফে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি।

উত্তর কলোনিতে গিয়ে দেখা মিলল এমন এক জনের, যিনি তলিয়ে গিয়েছিলেন বানের জলে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। তিনিও জানালেন তাঁর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। আতঙ্কের রেশ কাটিয়ে উঠতে পারছেন না তিনিও। তিনি ও তাঁর স্ত্রী জলে তলিয়ে গিয়েছিলেন। নিজেই বললেন সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, “হঠাৎ করে জল চলে আসে। মাটির একটা বাঁধ ছিল। সেটা ভেঙে চলে আসে। ভাসতে ভাসতে ১২০ ফুট এগিয়ে যাই। ওর হাতটা চেপে ধরে রেখেছিলাম, ছাড়িনি। এক আদিবাসী ছেলে আমাদের দেখেছিল। ওই এসে আমার হাতটা ধরে।”

তাঁরা জানালেন, পুলিশ প্রশাসনের কেউ নয়, এক আদিবাসী ছেলের হাত ধরেই তাঁরা নবজন্ম পেয়েছেন। ওঁরা প্রত্যেকেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন।

Next Article