জলপাইগুড়ি: মেডিক্যাল কলেজের নির্মাণ কাজ নিয়েই ঝামেলায় জড়াল তৃণমূলের যুযুধান দুই পক্ষ। বিবাদ মেটাতে বসল সালিশি সভা। কিন্তু, সেখানেও বিবাদে জড়াতে দেখা গেল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীকে। জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত টিবি হাসপাতাল পাড়ায় তৈরি হচ্ছে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ। এই হাসপাতাল তৈরির জন্য বালি,পাথর, সিমেন্ট সহ যাবতীয় নির্মান সামগ্রী এবং শ্রমিক সরবরাহ নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত বলে খবর। যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চ্যাটার্জী অনুগামীদের সঙ্গে বিবাদে জড়াতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের এসসিএসটি-ওবিসি সেলের জেলা সভাপতি তথা বারোপেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কৃষ্ণ দাসের অনুগামীদের।
সূত্রের খবর, হাসপাতাল তৈরির জন্য নিয়ে আসা সিমেন্ট, রড সহ বিভিন্ন কাঁচামাল আনলোডিং করা নিয়ে ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে কথা বলে একটি দর ঠিক করে দেন কৃষ্ণ দাস। সিমেন্টের ক্ষেত্রে বস্তা প্রতি আনলোডিংয়ের খরচ সাড়ে চার টাকা, লোহা আনলোডিংয়ের ক্ষেত্রে টন প্রতি একশো দশ টাকা ঠিক করে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, এই দর মানতে নারাজ অন্যারা। আপত্তি তোলেন সৈকত চ্যাটার্জীর অনুগামীরা। ঝামেলার জেরে বিগত দু’দিন ধরে আনলোডিংয়ের কাজ বন্ধ হয়ে যায় বলে খবর। সমস্যা মেটাতে বসে সালিশি সভা। এদিকে সেখানেও বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। বিবাদ মেটাতে ছুটে আসতে হয় পুলিশকে।
এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে কৃষ্ণ দাস বলেন, “দলের একাংশের নেতা কর্মীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। কাজের বরাতপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে আমি কথা বলে সব নির্ধারণ করে দিয়েছি। এরপরেও এখানে আমাদের কিছু লোক ঠিকাদার সংস্থার কাছ থেকে নানান অছিলায় বেশি টাকা দাবি করছে। কাটমানি না পেয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি চাই যাঁরা পিছন থেকে গণ্ডোগোল বাধাচ্ছে তারা সামনে আসুক। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।”
অন্যদিকে সৈকত চ্যাটার্জী বলেন, “মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে জলপাইগুড়ির মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে। এই কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। এইসব ঝামেলায় আমি নেই। আমার বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ করা হয় তবে তা মিথ্যা। তবে আমাকে কে কি বলল তাতে আমি খুব একটা পাত্তা দিইনা। যাঁরা কাজ করছেন তারা যদি কোনও ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হন তবে তারা অবিলম্বে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।”