জলপাইগুড়ি: নাবালিকা মেয়েটি সেদিন বাবাকে বাজারের ব্যাগ পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল। মাঝ রাস্তায় তার পথ আটকায় নিজের কাকা। বলেন, ‘চল তোকে বাজারে পৌঁছে দিই।’ কাকাকে দেখে নাবালিকা রাজি হতেই লালসা মাথাচাড়া দেয় কাকার মনে। নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে নিজের ভাইঝিকে ধর্ষণ করে কাকা। বছর চারেক আগের এই মামলায় গুণধর কাকাকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। দশ বছরের কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাকে। জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সালে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানায় এলাকায়। বাজারের ব্যাগ পৌঁছে দিয়ে দিতে যাওয়ার পথে ঘটনাটি ঘটে। নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ১৬ বছরের ভাইঝিকে ধর্ষণ করে কাকা। বিষয়টি জানাজানি হতেই কোতোয়ালি থানা দারস্থ হন নির্যাতিতার পরিবার। তাদের তরফে দায়ের করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পকসো আইনে মামলার রুজু করে। দীর্ঘ চার বছর সেই মামলা চলার পর অবশেষে কাকাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। ঘটনার বিষয়ে সরকারি আইনজীবী দেবাশীস মিত্র বলেন, ‘দীর্ঘদিন আইনি লড়াইয়ের পর বিচারক রায় দিয়েছেন। দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন অভিযুক্ত কাকা। ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে।’
অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী সমরেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘উচ্চ আদালতে বিষয়টি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। আমার মক্কেলদের সঙ্গে তার আগে আলোচনা করে নেব। তবে এখানে বিচারক কাকাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।’