জলপাইগুড়ি: রাজা নেই। নেই রাজ্যপাট। কিন্তু রয়ে গেছে রাজ পরিবারের প্রাচীন রীতি। যেই নিয়ম আজও অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়ে আসছে জলপাইগুড়ি বৈকণ্ঠপুর রাজবাড়ির দুর্গাপুজোয়। এই পুজো এবারে পা দিল ৫১৪ বছরে। রাজ পরিবারের প্রাচীন রীতি মেনে নবমী তিথিতে আয়োজন হয়েছিল হাঁস, পায়রা, আখ, চাল কুমড়ো,বাতাবি লেবুর বলি। যেই বলির পর শুরু হয় নবমী পুজো।
এদিন নিয়ম মেনে নবমী তিথিতে হরিদ্বার, শ্যামকুন্ডু, গঙ্গা, পুরী সহ বিভিন্ন জায়গার জল দিয়ে মাকে মহা স্নান করিয়ে পুজো করা হয়। এর পাশাপাশি নবমী উপলক্ষে মহাযজ্ঞ হয়ে থাকে। বেলপাতা ও নানা রকমের কাঠ দিয়ে বিশেষ এই যজ্ঞের আয়োজন করা হয়ে থাকে রাজবাড়িতে। যেহেতু এখানে কালিকা পুরাণ মতে পুজো হয় তাই পোলাও, সাদা ভাতের সঙ্গে থাকে ৫ রকমের মাছ সহ অন্যান্য তরি তরকারি এবং চাটনি, দই, মিষ্টি। পুজো দেখতে আজও সকাল থেকে ব্যাপক ভিড় দেখা যায় দর্শনার্থীদের। জলপাইগুড়ির পাশাপাশি শিলিগুড়ি-সহ অন্যান্য জায়গা থেকে এসেছেন দর্শনার্থীরা।
শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি রাজবাড়িতে এসেছেন রিঙ্কি ভট্টাচার্য, শ্রেয়সী চৌধুরীরা। জানালেন, এই পুজো অন্যান্য পুজোগুলি থেকে একদম আলাদা। তাই প্রতি বছরই তাঁরা এখানে ছুটে আসেন। রাজ পরিবারের পুরোহিত শিবু ঘোষাল বললেন, নবমীর সকালে হরিদ্বার, শ্যামকুন্ডু, গঙ্গা, পুরী-সহ বিভিন্ন জায়গার জল দিয়ে মাকে স্নান করানো হয়েছে। আজকের বিশেষ রীতি মেনে পায়রা, হাঁস, আখ, চালকুমড়ো ও বাতাবি লেবু বলি দেওয়ার পর পুজো শুরু হয়। মহা যজ্ঞও হয়েছে। মায়ের ভোগ হিসাবে থাকছে পোলাও। থাকবে ইলিশ, চিংড়ি, পাবদা কাতলা, বোয়াল-সহ ৫ রকমের মাছের ঝোল।