Dhupguri News: চার বছর ধরে নেই বিদ্যুৎ, স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে যেতে চান স্ত্রী

Rony Chowdhury | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 22, 2023 | 8:49 PM

Dhupguri: এদিন ধরনার খবর পেয়ে গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে ছুটে আসেন ধূপগুড়ি থানার পুলিশকর্মীরা। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান সেখানে ছিলেন না। পুলিশ কর্মীরা এসে কথা বলেন অভিযোগকারীদের সঙ্গে। আশ্বাস দেন প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে বিদ্যুৎ সংযোগ আনার ব্যবস্থা করবেন।

Dhupguri News: চার বছর ধরে নেই বিদ্যুৎ, স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে যেতে চান স্ত্রী
পঞ্চায়েত অফিসের সামনে প্রতিবাদে পরিবার।

Follow Us

ধূপগুড়ি: বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। বিকাল গড়ালেই গোটা পাড়ায় আলো, অথচ দু’ এক ঘরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। এভাবে আর স্বামীর ঘরও করতে চান না স্ত্রী। বাচ্চা নিয়ে চলে যেতে চান বাপের বাড়ি। বাড়িতে এমন অশান্তি যে শুক্রবার এলাকার পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে ধরনায় বসে পরিবার। ধূপগুড়ি বারঘরিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের কামাতপাড়া এলাকার ঘটনা।

কামাতপাড়ার রামমোহন রায়ের বাড়ি। সেই বাড়িরই বউ সুমিতা রায় অভিযোগ করেন, “পাড়ার ২টো লোকের জন্য এসব হচ্ছে। ওরা বিদ্যুতের খুঁটি বসাতে দিচ্ছে না। প্রধানকে বলেছি, তাও কাজ হল না। কিছুই দেখে না। এদিকে আমাদের দিনের পর দিন অন্ধকারে থাকতে হয়। কোলের বাচ্চা নিয়ে সন্ধ্যা হলে জায়ের বাড়ি গিয়ে উঠি। এভাবে কতদিন আর চলবে। সন্ধ্যা হলে বাচ্চাটা থাকতে চায় না। এভাবে শীত বর্ষায় বাচ্চা কোলে অন্য বাড়ি গিয়ে বসে থাকতে হয়।”

এদিন ধরনার খবর পেয়ে গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে ছুটে আসেন ধূপগুড়ি থানার পুলিশকর্মীরা। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান সেখানে ছিলেন না। পুলিশ কর্মীরা এসে কথা বলেন অভিযোগকারীদের সঙ্গে। আশ্বাস দেন প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে বিদ্যুৎ সংযোগ আনার ব্যবস্থা করবেন।

নিরু রায় নামে এই বাড়ির এক সদস্য বলেন, “বাড়িতে বিদ্যুই নেই। চার বছর হয়ে গেল। দাদা বৌদির মধ্যে ঝামেলা লেগে যাচ্ছে। বউ বলছে আমি অন্ধকারে থাকব না। সংসার করব না। বলছে, এভাবে তো জানোয়ার থাকে।” এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক আকচাআকচি শুরু হয়েছে।

বিজেপির ধূপগুড়ি বিধানসভা এলাকার আহ্বায়ক চন্দন দত্ত বলেন, “তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ওই পরিবারটিকে তৃণমূলের ঝান্ডা তুলে দিয়েছিল ভোটের আগে। বাড়িতে বিদ্যুৎসংযোগ দেবে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলে টেনেছিল। কিন্তু জানতে পারলাম তারপরও বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়া হয়নি। বর্তমান যুগে বিদ্যুৎহীন হয়ে কোনও মানুষ থাকতে পারেন এটা ভাবলেও লজ্জা হয়। তৃণমূল পরিচালিত গ্রামপঞ্চায়েত বলেই এটা সম্ভব আর এই সরকারের আমলে এমন আরও বহু কিছু দেখতে হবে। এটা প্রশাসন এবং সরকারের লজ্জা।” যদিও তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক অরূপ দে বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি এমনটা হয়ে থাকে তবে প্রশাসনকে বলব যাতে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়।”

Next Article