জলপাইগুড়ি: রাতের অন্ধকারে অভিযুক্তকে ধরতে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তারপর যে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে, তা বোধহয় বুঝে উঠতে পারেননি পুলিশ কর্মীরাও। ফেরার পথে এমন হামলা হয়েছে যে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে পুলিশ কর্মীকে। ধুপগুড়ি থানার পুলিশের সঙ্গে কার্যত খন্ডযুদ্ধ চলে দুষ্কৃতীদের। শূন্যে গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়েছে। এমন অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে যান এলাকার বাসিন্দারাও। আহত হয়েছেন ধুপগুড়ি থানার এসআই। জলপাইগুড়ির মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লকের কেদারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের জোরশিমুলি এলাকার ঘটনা।
রাজীব বর্মণ নামে এক চোরকে গ্রেফতার করতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে ধুপগুড়ি থানার পুলিশ কর্মীদের। কার্যত কোনও ক্রমে প্রাণে বেঁচে ফেরেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ধুপগুড়ি থানার একটি দল অভিযানে যায় মাথাভাঙায়। সেখানেই পুলিশ কর্মীদের ঘিরে ফেলে দুষ্কৃতীরা। এলোপাথাড়ি হামলা শুরু হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে। পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় মাথাভাঙা থানার বিশাল পুলিশ। আহত পুলিশ কর্মীদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধুপগুড়ি থানার এক পুলিশকর্মী জানিয়েছেন, চোরকে ধরে নিয়ে আসার মুখেই হামলার মুখে পড়তে হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান রাতের বেলা আচমকা গুলির শব্দে ঘুম ভাঙে তাঁদের। ঘরের বাইরে বেরলে বুঝতে পারেন অন্ধকারে পুলিশের সঙ্গে গণ্ডগোল হচ্ছে।
মাথাভাঙার এসডিপিও সুরজিৎ মণ্ডল বলেন, একটি চুরির ঘটনায় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ অভিযুক্তকে ধরতে গেলে অভিযুক্ত লোহা জাতীয় কোনও বস্তু দিয়ে পুলিশকে আঘাত করে। পুলিশ কর্মী আহত হন।