মালবাজার: রাস্তায় ঘুরছে আহত হাতি,পাঞ্জা লড়ছে মৃত্যুর সঙ্গে। তবুও করা হয়নি তার চিকিৎসায় ব্যবস্থা। মালবাজার (Malbazar) ব্লকের তারঘেরা জঙ্গলের দাঁতালটি আহত অবস্থায় কখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে গাড়ি চলার রাস্তায় আবার কখনও সেই রাস্তা ফাঁকা পেলেই দাঁড়িয়ে থাকছে ঘণ্টা পর ঘণ্টা। দীর্ঘক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও তার চিকিৎসা ব্যবস্থা না হওয়ায় প্রশ্নের মুখে বনদপ্তরের ভূমিকা। এদিকে, এই ঘটনায় পরিবেশপ্রেমীদের দাবি, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে হাতিটি (Elephant) ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈকণ্ঠপুর ডিভিশনের অন্তর্গত তারঘেরা রেঞ্জের জঙ্গলে বেশ কয়েকদিন থেকেই আহত অবস্থায় হাতিটিকে ঘুরে বেড়াতে দেখছেন এলাকাবাসী থেকে পর্যটকেরা। দেখা গিয়েছে, হাতিটির পিছনের বাঁ পায়ে গভীর আঘাত রয়েছে, যার কারণে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটছে দাঁতালটি।
জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার একাধিক পরিবেশপ্রেমীদের দাবি, গাড়ির ধাক্কায় বা অন্য কোনও কারণে অঘাত পেয়ে থাকতে পারে সেটি। সেই ব্যথার কারণে হাঁটতে সমস্যা হওয়ায় ফাঁকা জায়গায পেলে রাস্তার পাশে আবার কখনও রাস্তার উপরেই দাঁড়িয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে, বনদপ্তরের তরফে এখনও পর্যন্ত আহত হাতির চিকিৎসা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠছে। সেই অভিযোগ স্বীকারও করেন মাল স্কোয়াডের রেঞ্জার দীপেন সুব্বা। তিনি বলেন, “আমাদের মাল স্কোয়াডের রেঞ্জের অন্তর্গত এলাকা হলেও সেখানে তারঘেরা রেঞ্জের বনকর্মীরা নজরদারি চালাচ্ছেন। পূর্ণবয়স্ক দাঁতালটিকে দেখতে পেলেই আমাদেরকে খবর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেই খবর এখনও আসেনি। যেহেতু চিকিৎসা করতে হলে ট্রাংকুলাইজ করার প্রয়োজন রয়েছে হাতিটিকে। সেহেতু এখনও চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়নি।”
অন্যদিকে, পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ন্যাসের কর্মকর্তা নফসর আলী বলেন, “হাতিটির আহত অবস্থায় ঘুরে বেড়ানোর খবর পেয়ে আমরা গিয়েছিলাম। হাতিটির পিছনের বাঁ পায়ে আঘাত লেগেছে। আমরাও বনদপ্তরকে জানিয়েছি। তবে তাদের তরফে এখনও পর্যন্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। আমাদের মনে হয় দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা না হলে হাতিটির মৃত্যু হতে পারে।”
আরও পড়ুন: Babul Supriyo resigns: ‘শুভেন্দুর উচিৎ উপদেশগুলো নিজের বাবাকে দেওয়া’, ইস্তফা দিয়ে বললেন বাবুল