Babul Supriyo resigns: ‘শুভেন্দুর উচিৎ উপদেশগুলো নিজের বাবাকে দেওয়া’, ইস্তফা দিয়ে বললেন বাবুল
Babul Supriyo: তৃণমূলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেওয়ার পরই সাংসদ পদ ছাড়তে চেয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়।
নয়া দিল্লি : তৃণমূলে (TMC) যোগ দেওয়ার পর থেকে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য সময় চাইছিলেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। অবশেষে দি মাস পর তাঁকে সময় দিয়েছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা (Om Birla)। আজ, মঙ্গলবার ওম বিড়লার বাসভবনে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। বাবুল জানান, সাংসদ (MP) পদ ধরে রাখাটা অনৈতিক মনে হয়েছিল বলেই ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাবুল। এ দিন ওম বিড়লার বাসভবন থেকে বেরিয়ে তিনি একদিকে যেমন আসানসোলের (Asansol) প্রতি তাঁর আবেগের কথা ব্যক্ত করেন, অন্যদিকে শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) সাংসদ পদ নিয়ে খোঁচা দেন শুভেন্দু অধিকারীকে।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের পরই সংসদ পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়ে ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এ জন্য গত মাসের শেষের দিকে দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ব্যস্ত থাকায় তাঁর সময় পাননি বাবুল। তিনি দু বার চেষ্টা করেও স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি বলে দাবি করেন বাবুল। অন্যদিকে লোকসভার একটি সূত্র থেকে জানা যায়, আবেদনই করা হয়নি। আজ অবশেষে ইস্তফা দিলেন তিনি।
এ দিন ইস্তফা দেওয়ার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘শুভেন্দুর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ছিল, এখনও আছি। শুভেন্দু আসার সম্পর্কে কড়া ভাষায় কথা বলে, কারণ ওটা রাজনীতির স্বার্থে ওকে করতেই হবে।’ সেই সঙ্গে বিজেপি নেতাকে খোঁচা দিয়ে বাবুল বলেন, ‘আমি নৈতিকভাবে ঠিক থাকতেই সাংসদ পদ ছেড়ে দিলাম। শুভেন্দুর বাবারও উচিৎ সেটাই করা। শুভেন্দু যেন ওঁর বাবাকে গিয়ে উপদেশগুলো দেন।’
কাঁথির বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারীর সদস্যপদ বাতিলের দাবিতে লোকসভায় স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠিও দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। দলবদলের আগে তৃণমূলের প্রতীকে সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে পদত্যাগ না করে শিবির বদল করছেন সাংসদ? এই প্রশ্নই তোলে তৃণমূল। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভানে এখনও বিজেপির পতাকা হাতে নেননি শিশির অধিকারী।
বিজেপির টিকিটে আসানসোল থেকে পরপর দু বারের সাংসদ ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এ দিন ইস্তফা দেওয়ার পর সেই আসানসোলের প্রতি তাঁর আবেগের কথা বলেন বাবুল। তিনি বলেন, ‘আসানসোল আমার জন্য স্পেশাল জায়গা। আসানসোলের প্রতি আমার আলাদা দায়িত্ব আছে।’
রামদেবের জন্যই রাজনীতিতে এসেছিলেন বলে উল্লেখ করেন বাবুল। তিনি বলেন, রামদেবের জন্য রাজনীতিতে আসা। রামদেবের সঙ্গে হরিদ্বার গিয়ে সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানান বাবুল। সেই সঙ্গে বাবুল এও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বামংলার জন্য তকাদের দায়িত্ব দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে এও বলেছেন, ‘জননেতা হিসাবে ভাল কাজ করেছ। রাজনীতি ছেড় না।’ তবে বিজেপিতে তাঁর মন ছিল না বলেই দল ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানান বাবুল।
আরও পড়ুন : WB By-Election: প্রথমে ছিল ২৭, এক লাফে বেড়ে উপনির্বাচনের বাংলায় ৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী