মায়ের ফোন থেকে ইন্সটাগ্রাম করত, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ কিশোরের বিরুদ্ধে
Crime: নাবালিকা মা-বাবার ফোন থেকে ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করত। তাদের মোট ৭টি অ্যাকাউন্ট ছিল। এর মধ্যে ২টি সক্রিয়। ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমেই নাবালিকার সঙ্গে আলাপ হয় কিশোরের। দুজনে বাড়িতে লুকিয়ে ফোনেও কথা বলত।
আহমেদাবাদ: শিশু-কিশোরদের হাতে মোবাইল দেওয়া নিয়ে সতর্ক করা হয় বারবার। সে কথা কানে তোলেন না অনেকেই। অল্প বয়সে মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের চরম মাশুল দিতে হল ১০ বছরের নাবালিকাকে। ১৬ বছরের এক কিশোরের বিরুদ্ধে উঠল ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। ইন্সটাগ্রামে আলাপ থেকেই এই পরিণতি হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
গুজরাটের আরাভাল্লি জেলার ধানসুরা গ্রামের বাসিন্দা ওই নাবালিকা চলতি সম্পাহের শুরুতেই হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়। মঙ্গলবার পরিবারের তরফে থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়। এরপরের দিনই পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরের বাড়ি থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে।
তদন্তে নেমে পুলিশ নাবালিকার মা-বাবার কাছ থেকে জানতে পারে যে সে ও তাঁর বোন দুজনেই মা-বাবার ফোন থেকে ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করত। তাদের মোট ৭টি অ্যাকাউন্ট ছিল। এর মধ্যে ২টি সক্রিয়। ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমেই নাবালিকার সঙ্গে আলাপ হয় কিশোরের। দুজনে বাড়িতে লুকিয়ে ফোনেও কথা বলত।
দুইজন দেখা করার সিদ্ধান্ত নিলে, ওই কিশোর ১০ বছরের নাবালিকাকে অপহরণ করে এবং নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পুলিশ ওই কিশোরকে অবজারভেশন হোমে পাঠিয়েছে। আদালতে বিচার প্রক্রিয়ার পরই তাঁর বিরুদ্ধে নাবালক বিচার আইনে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।