চিন জুড়ে তো HMPV আতঙ্ক, ভারতেও কি সংক্রমণ বাড়ছে গোপনে? বড় তথ্য সামনে আনল কেন্দ্রীয় টিম
HMPV Cases in China: চিন বলেছে, এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে এখনই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। ফ্লু সিজন চলছে। এই সময় সংক্রমণ বাড়েই। পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে চিনা প্রশাসন।
নয়া দিল্লি: ভয়ের পরিস্থিতি চিনে। নতুন বছরের শুরুতেই ফের একবার নয়া ভাইরাস ঘিরে আতঙ্ক। ২০২০ সালের শুরুতেই যেমন করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল, তেমন ভাবেই ২০২৫ সালে চিনে ছড়িয়ে পড়ছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (Human Metaneumovirus), যা সংক্ষেপে এইচএমপিভি (HMPV) নামে পরিচিত। শীতকালে ফের একবার সংক্রামক রোগ ছড়াতেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে গোটা বিশ্বের। ভারতে কী পরিস্থিতি?
চিন বলেছে, এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে এখনই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। ফ্লু সিজন চলছে। এই সময় সংক্রমণ বাড়েই। পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে চিনা প্রশাসন। এদিকে, ভারতেও এই ভাইরাস নিয়ে কম হইচই হচ্ছে না। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতেই বৈঠকে বসেছিল জয়েন্ট মনিটরিং গ্রুপ। সেই গ্রুপও জানাল, চিনের এই পরিস্থিতি অস্বাভাবিক কিছু নয়।
ডিরেক্টর জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসের নেতৃত্বে শনিবার এই বৈঠক হয় দিল্লিতে। বৈঠকে ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা সেল, ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভিল্যান্স প্রোগ্রাম, ন্যাশনাল সেন্টার ফ ডিজিজ কন্ট্রোল, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ, দিল্লি এইমস সহ বিভিন্ন হাসপাতালের প্রতিনিধিরা।
জয়েন্ট মনিটরিং গ্রুপ যাবতীয় নথি-তথ্য খতিয়ে দেখে সম্মতিতে আসে যে চিনে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস আরএসভি ও এইচএমপিভি সংক্রমণ বাড়ছে। এই সংক্রমণ নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কারণ নেই। তবে সরকার গোটা পরিস্থিতির উপরে কড়া নজর রাখছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও চিনের পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত আপডেট দিতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস’ ও ‘সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরাটরি ইলনেস’-র উপরে নজরদারির জন্য দেশে ইতিমধ্যেই একটি নজরদারি বা সার্ভিল্যান্স সিস্টেম রয়েছে। আইসিএমআর ও আইডিএসপি-র তথ্যে ভারতে ইনফ্লুয়েঞ্জা বা এই ধরনের সংক্রমণের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়নি। বিভিন্ন হাসপাতালের তরফেও জানানো হয়েছে, শীতকালে যেমন সংক্রমণ বা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ দেখা যায়, তার বাইরে হঠাৎ কোনও রোগী বৃদ্ধি হয়নি।
আইসিএমআর জানিয়েছে, তারা এইচএমপিভি ছাড়াও অন্যান্য রেসপিরেটরি ভাইরাস, যেমন আরএসভি, অ্যাডিনো ভাইরাসের জন্য নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কোনও ভাইরাস সংক্রমণই বাড়েনি। তবে আইসিএমআর আশ্বাস দিয়েছে যে এইচএমপিভি শনাক্তকরণের জন্য আরও ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হবে।