জলপাইগুড়ি: মৃত রোগীর নামে ডায়ালিসিসের বিল বানাচ্ছিল কারা? দিনের পর দিন এই ব্যবসা চলছিল কী ভাবে? এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে চার সদস্যর কমিটি গঠন করল জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর। আগামী সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে মৃত রোগীদের নামে ডায়ালিসিসের ভুয়ো বিল তৈরি হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। কমিটিতে রয়েছেন হাসপাতালের সুপার, ডেপুটি সি এম ও এইচ ১ ও ২ এবং নার্সিং সুপার। এই কমিটি শনিবারই ডায়ালিসিস ইউনিট পরিদর্শন করেন এবং সেখান থেকে কিছু কাগজ বাজেয়াপ্ত করা হয়ে বলেও জানা গিয়েছে।
আদতে পিপিপি মডেলে চলত ওই ডায়ালিসিস ইউনিট। মৃত রোগীর নামে ভুয়ো বিল বানিয়ে দিনের পর দিন টাকা নেওয়া হচ্ছিল। সম্প্রতি বিষয়টি সামনে আসে। রোগী ও তাঁদের আত্মীয় পরিজনদের অভিযোগ, এই ডায়ালিসিস ইউনিট কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে মৃত ব্যক্তিদের নামে ভুয়ো বিল বানিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করছে। একইসঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, ডায়ালিসিসের সময় ডিসপোজেবল ইউনিট রোগীদের পুনরায় ব্যবহার দেওয়া হচ্ছে। এতে রোগীদের সমস্যা হচ্ছে। এই মর্মে তাঁরা হাসপাতাল চত্বরে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন। ভুয়ো বিলের কপিও সামনে আসে।
রোগীদের পক্ষ থেকে যেই নাম গুলির ভুয়ো বিলের কপি দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন জলপাইগুড়ি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দলবাহাদুর বিশ্বকর্মা। যিনি পেশায় একজন পুলিশ আধিকারিক ছিলেন। জানা গিয়েছে, কিডনির অসুখে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রায় দু’বছর ধরে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ডায়ালিসিস করিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০২১ সালের ২৩ জুন তাঁর মৃত্যু হয়। অথচ মৃত দলবাহাদুর বিশ্বকর্মার নামে ২০২১ এর জুন মাসের পর থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ভুয়ো বিল তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু দলবাহাদুর বিশ্বকর্মার ক্ষেত্রেই নয়, এমন অভিযোগ উঠেছে আরও অনেকে বিরুদ্ধে।