জলপাইগুড়ি: কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডেঙ্গি। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে মৃত্যুর খবরও উঠে এসেছে। এরপর ফের নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত তিনজন। তাঁদেরকে ভর্তি করা হল হাসপাতালে।
গরম পড়তেই বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। জলপাইগুড়ির মাল মহকুমার ওদলাবাড়ির পর এবার ধূপগুড়ি ও বানারহাটের ডেঙ্গিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন। তার মধ্যে বানারহাট ব্লকের কাঠালগুড়ি চা বাগানের একজন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই চা বাগান অধ্যুষিত এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে । এছাড়াও অনেকের ডেঙ্গির উপসর্গ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, ধূপগুড়ি ব্লকের কালিরহাট এলাকার একজন সাড়ে চার বছরের শিশু এবং গাদং ১ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের এক ব্যক্তি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত তিনজনই ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই ডেঙ্গি আক্রান্তের খবরে আতঙ্ক বাড়ছে চা বাগান এলাকা সহ ধূপগুড়িতে। যদিও, হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে বর্তমানে প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছেন।
এদিকে, আক্রান্ত রোগীদের দেখতে ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতালে আসেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদস্যা মমতা সরকার বৈদ্য। তিনজন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গেও আলোচনা করেন এবং ডেঙ্গিতে আক্রান্তরা যাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা পায় সেটাও বলেন।
বস্তুত, প্রতিদিন ধূপগুড়ি হাসপাতালে প্রচুর জ্বরে আক্রান্ত রোগী আসছেন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের ডেঙ্গির উপসর্গ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। স্বাভাবিকভাবে ধূপগুড়িতে যে নতুন করে ডেঙ্গি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তা কিন্তু এই তিনটি ঘটনা থেকে পরিষ্কার। এদিকে, ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহরে। ধূপগুড়ি পুরো এলাকায় মশার উপদ্রপে নাজেহাল শহরবাসী, আর মশা মারার জন্য শহরে মশা মারার ওষুধ প্রয়োগ করার কথা তা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় না।
বস্তুত, করোনা এখনও নির্মূল হয়নি। তার মধ্যেই আবার ডেঙ্গির প্রকোপ। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের অবস্থা আরও খারাপ। প্রায় প্রতিদিনই সেখানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এর মধ্যে আবার দুঃসংবাদ। চলতি বছরে ডেঙ্গিতে প্রথম মৃত্যু উত্তরবঙ্গে। মৃতের নাম রোহিত খালকো। ওই যুবক খড়িবাড়ির বাসিন্দা।