Jalpaiguri: ‘পাশেই বাজি ফাটাচ্ছিল, নিশ্চই ওইখান থেকে হয়েছে!’ জলপাইগুড়ির একটি বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 05, 2021 | 6:59 AM

Fire: প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শর্ট-সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।

Jalpaiguri: পাশেই বাজি ফাটাচ্ছিল, নিশ্চই ওইখান থেকে হয়েছে! জলপাইগুড়ির একটি বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকলকর্মীারা, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

জলপাইগুড়ি: ফের আগুনের ঘটনা শহরে। দীপাবলির রাতে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহর সমাজপাড়া এলাকার একটি বাড়ির তিন তলায় আগুন লাগে। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।

জানা গিয়েছে, ওই বাড়িটির একটি ঘরে প্লাস্টিকের গ্লাস, থালা ইত্যাদি মজুত ছিল। যার জেরে মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে যায় পুরো বাড়িটিতে। আগুন লাগার সঙ্গে-সঙ্গেই দমকল বিভাগকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থানে আসে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। সঙ্গে এলাকায় আসে পুলিশকর্মীরা (Police) । প্রত্যেকেই এসে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়।

তবে কীভাবে আগুন লেগেছে ?সেই বিষয়ে বাড়ির মালিককে জানতে চাওয়া হলে, তিনি অভিযোগ করে জানান, আমাদের পাশেই বাজি পোড়ানো হচ্ছিল। সেখান থেকেই কোনও ভাবে আগুনের ফুলকি ঘরে ঢুকে যায়। আর তারপরই ধরে যায় আগুন।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শর্ট-সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। ঘটনার তদন্তে দমকল ও জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ভোর রাত নাগাদ আগুন নেভানোর কাজ শেষ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত পরশু হাওড়ার একটি কারখানা থেকে আগুন লাগার ঘটনা সামনে আসে। ওই কারখানা থেকে কালো ধোঁয়া বেরতে দেখেন স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয়  দমকলে। আগুন নিয়ন্ত্রণে দ্রুত  দমকলের  ৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। পরে আরও ২টি ইঞ্জিন পাঠানো হয়। ধীরে ধীরে আরও বাড়ানো হয় ইঞ্জিনের সংখ্যা।

দমকলের অন্য  একটি টিম গার্ডওয়াল ভেঙে ভেতরে গিয়ে ফায়ার পকেটগুলি নেভানোর চেষ্টা চালায়। দমকল আধিকারিকরা জানান, প্রচুর পরিমাণে দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় কারখানার ভেতরে এবং গোডাউনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি এসি মেশিন সারাতে গিয়েই শর্ট সার্কিট থেকে এই বিপত্তি।

স্থানীয় ও দমকল সূত্রে খবর, যখন আগুন লাগে তখন কারখানায় শ্রমিকেরা কাজ করছিলেন। তবে সকলকেই কারখানা থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়। হতাহতের বা আহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ওই চিপস কারখানায় প্লাস্টিক বা অন্যান্য় দাহ্য পদার্থও মজুত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা দমকলের। পাশাপাশি, জোরালো বাতাসের জন্য আগুন আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় চলে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ। যেহেতু, জাতীয় সড়কের ধারেই এই কারখানা, তাই  যানবাহনের গতিও শ্লথ। আগুন নেভাতেও বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে এলাকা। প্রথমে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হলেও, পরে দমকল কর্মীদের প্রচেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: মুখ থেকে খারাপ কথা বেরোলে দাদা সংশোধন করে দিতেন, জ্ঞান দিতেন!

আরও পড়ুন: Subrata Mukherjee: ‘গুরু’ প্রিয়র হাত থেকে নিয়েছিলেন ধুতি ও পাঞ্জাবী, জীবনভর ‘সু’-ব্রতই পালন শিষ্যের

Next Article