Bangladesh Unrest: বাংলাদেশের অশান্তির আঁচ সীমান্তের মিলন মেলায়, অজানা আশঙ্কার মেঘ জিরো পয়েন্টে! কেউ নামই লেখাল না BSF-র খাতায়
Bangladesh Unrest: এলাকার মানুষের বিশ্বাস, বিভিন্ন অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন পীর বাবা। তিনি যখন জীবিত ছিলেন সেসময় ভারত ও বাংলাদেশ দু’দেশের মানুষ তার কাছে আসতেন দোয়া চাইতে। মারা যান আজ থেকে ৩৬ বছর আগে। কিন্তু, মৃত্যুর আগেই তাঁকে জুম্বাগছের ওই জায়গায় কবর দেওয়ার কথা বলে গিয়েছিলেন।

জলপাইগুড়ি: পদ্মাপাড়ের অশান্তির আঁচ পীর বাবার বার্ষিক ওরস অনুষ্ঠানে। মিলন মেলায় এল না বাংলাদেশ। কার্যত ফাঁকা রাজগঞ্জের জুম্বাগছ মিলন মেলা। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত জুম্মাগছ। সীমান্তের কাটা তারের ওপারে থাকা জিরো পয়েন্টে পীর বাবা আব্দুল রশিদের মাজার। বার্ষিক ওরসে ফি বছর মানুষের ঢল নামলেও এবার ৩৬ তম ওরস কার্যত ফাঁকা। তবে BSF জওয়ানদের মধ্যে ব্য়াপক তৎপরতা দেখা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশের জিরো পয়েন্টে থাকা এই এলাকায় যেতে বিএসএফের খাতায় প্রথমে নাম লেখাতে হয়। নাম লিখিয়ে কাঁটাতারের ওপারে যান তাঁরা এপার বাংলার নারায়ন জোত, জুম্মাগছ, সর্দার পাড়া, ফুলবাড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষেরা। পীর বাবার মাজারে প্রার্থনা করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবার ভারতে ফিরে আসেন।
এলাকার লোকজন বলেন, আব্দুল রশিদ নামে এক মুসলিম ধর্মগুরুর বাড়ি ছিল বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপ জেলার সালবাহান হাট এলাকায়। দুই বাংলাজুড়েই অবাধে যাতায়াত ছিলো তাঁর। শেষে এপারে থাকা রাজগঞ্জ ব্লকে তাঁর বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে মারা যান তিনি। তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী দুই দেশের সীমান্তের জিরো পয়েন্টে তাঁকে সমাধিস্ত করা হয়। এলাকার মানুষের বিশ্বাস, বিভিন্ন অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন পীর বাবা। তিনি যখন জীবিত ছিলেন সেসময় ভারত ও বাংলাদেশ দু’দেশের মানুষ তার কাছে আসতেন দোয়া চাইতে। মারা যান আজ থেকে ৩৬ বছর আগে। কিন্তু, মৃত্যুর আগেই তাঁকে জুম্বাগছের ওই জায়গায় কবর দেওয়ার কথা বলে গিয়েছিলেন। সঙ্গে নাকি এও বলেছিলেন যাঁরা তাঁর কবর খুঁড়বেন তাঁরা সেখানে ঠিক নিজেদের পারিশ্রমিক পেয়ে যাবেন। শোনা যায় পীর বাবার মৃত্যুর পর দুই এলাকাবাসী কবর খুঁড়েছিলেন। তাঁরা নাকি সেখানে তিনটি রূপোর মোহোরও পান। তাঁর পর থেকেই পীর বাবার ‘মিথ’ ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকাতেও।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ আলম, মুসা আসরফি বলেন, “প্রতিবার এখানে প্রচুর মানুষ আসে। কিন্তু, এবার ফাঁকা। এবার বাংলাদেশের মানুষ আসেনি। তারা ওইদিকে দোয়া করছেন।” কমিটির পক্ষে আতিয়ার রহমান বলেন, “গত বছর তো ভিড়ের রেকর্ড হয়েছিল। কিন্তু এবারে বাংলাদেশে অশান্তি। পাশাপাশি মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য আমরা মাইকিং করে প্রচার করতে পারিনি। তাই এবার লোক আসেনি।”





