জলাপাইগুড়ি-কোচবিহার: ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের (North Bengal) তিন জেলায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা (Red alert)। একাধিক জেলায় জারি হয়েছে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস (Rain Forecast)। এদিকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে অতি ভারী বৃষ্টিপাত চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এদিকে গত দুদিনের টানা বৃষ্টিতে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে একাধিক জেলায়। বিপর্যস্ত তুফানগঞ্জের ছিট বড়লাউ কুঠির বিস্তীর্ণ এলাকা। তলিয়ে যাচ্ছে গোটা গ্রাম। গত দুদিনের টানা বৃষ্টি ও সংকোশ নদীর ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে গ্রামের প্রাচীনতম বটগাছ। তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের রাস্তাঘাট। তাতেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
একইসঙ্গে বৃষ্টির কারণে দুর্বিষহ অবস্থা ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের। মঙ্গলবার জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকাবাসীদের অভিযোগ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ রাস্তা সম্প্রসারণ করার সময় ড্রেনের ব্যবস্থা ভালো করেনি। আর তার ফলেই জল ঢুকে যাচ্ছে বসতি এলাকায়। এরফলেই প্রাণ ওষ্ঠাগত এলাকার বাসিন্দাদের। বিক্ষোভের জেরে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে আসে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। যদিও তারপরেও ওঠেনি অবরোধ।
এরপর পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে আসেন ময়নাগুড়ির ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শুভ্র নন্দী। কথা বলেন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। কিভাবে এলাকা থেকে জল নিষ্কাশন করা যায় তা নিয়ে আলোচনাও করেন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। তারপরে উঠে যায় অবরোধ। শুরু করেন অবরোধ উঠে যায়। এদিকে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ৩০ তারিখের পর থেকে ধীরে ধীরে বৃষ্টির দাপট কমবে উত্তরবঙ্গে। একইসঙ্গে চলতি মাসের শেষ থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দাপট বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।