জলপাইগুড়ি: জল কমে যাওয়ায় তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকা লাল সতর্কতা এবং সংরক্ষিত এলাকা থেকে হলুদ সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়েছে। কেবলমাত্র তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকা ( দোমহনি থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত) এলাকায় জারি রয়েছে হলুদ সঙ্কেত। তিস্তায় নতুন করে জল ছাড়ার খবর নেই। একইসঙ্গে জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সঙ্কেত জারি রয়েছে। এই খবর জানিয়েছেন ফ্লাড কন্ট্রোল রুমের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মানবেশ রায়।
তিস্তার জল বাড়ার প্রভাব পড়েছিল করলা নদীতে। তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে জলপাইগুড়ি শহরের বুক বেয়ে চলে যাওয়া করলা নদীর জল বেড়ে গেছে। ফলে পৌরসভার ১ এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের করলা নদী সংলগ্ন এলাকায় অতিরিক্ত জল নীচ মাঠ,পরেশ মিত্র কলোনি-সহ কয়েকটি এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। ইতিমধ্যেই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বাড়ি ছেড়ে স্থানীয় আশ্রয় শিবিরে উঠেছেন। সেখানে পানীয় জল, শুকনো খাবার-সহ রান্না করা খাবার সরবরাহ করা শুরু করেছে জলপাইগুড়ি পৌরসভার কর্মীরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই এলাকা পরিদর্শনে যান জলপাইগুড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল, ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় ও পৌরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সরূপ মন্ডল জলমগ্ন এলকা পরিদর্শন করেন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আসেন এলাকাবাসীদের।
জলপাইগুড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল বলেন, “আমরা এই এলাকার মানুষের পাশে আছি। আমরা ইতিমধ্যে এলাকাবাসীদের স্থানীয় ফ্লাড শেল্টারে নিয়ে গেছি। একই সঙ্গে তাঁদের পানীয় জল, শুকনো খাবার-সহ রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।”
ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন,”এই এলাকায় রেইন কাট হয়েছে। আমরা দেখে গেলাম। জল কমে গেলেই ইরিগেশন যাতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়, আমরা সেই ব্যবস্থা করব।” জলপাইগুড়ি সেচ দফতরের ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাত থেকে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায়। একই সঙ্গে সংরক্ষিত এলাকায় জারি রয়েছে হলুদ সঙ্কেত।
প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফুট ব্রিজ। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে মালবাজার তেশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। সোমবার রাত থেকে বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়ে ডুয়ার্সের বানারহাট এবং মালবাজার শহরের বেশ কিছু এলাকা।