Fraud Case: কল সেন্টারে হানা পুলিশের, কাপড়ে মুখ ঢেকে ভ্যানে উঠলেন ১৯ জন মহিলা! সঙ্গে দুই পুরুষ

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 21, 2022 | 6:39 PM

Jalpaiguri: জলপাইগুড়ির রানিনগর বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন চ্যাওড়াপাড়া এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া করে কল সেন্টারের নাম করে ব্যবসা চলছিল।

Fraud Case: কল সেন্টারে হানা পুলিশের, কাপড়ে মুখ ঢেকে ভ্যানে উঠলেন ১৯ জন মহিলা! সঙ্গে দুই পুরুষ
কোতোয়ালি থানা এলাকায় প্রতারণার অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

জলপাইগুড়ি: লোকে জানত কল সেন্টার চলছে। নিয়মিত প্রচুর ছেলে মেয়ে আসত। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার পুলিশ অভিযান চালায় জলপাইগুড়ি রানিনগর বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন চ্যাওড়াপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে। জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার পুলিশ ১৯ জন মহিলা-সহ মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এরপরই জানা যায়, বিভিন্ন রকম প্রতারণার কাজ চলত এই অফিস থেকে। এমনকী বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে বন্ধু-বান্ধবী খুঁজে দেওয়া বা নানা ধন্দমূলক কাজও চলত। শুক্রবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হলে ১৯ জন মহিলা জামিন পান। জেল হেফাজত হয় ২ জনের।

জলপাইগুড়ির রানিনগর বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন চ্যাওড়াপাড়া এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া করে কল
সেন্টারের নাম করে ব্যবসা চলছিল। অভিযোগ, ফোনের মাধ্যমে মহিলা বন্ধু খুঁজে দেওয়ার টোপ দিয়ে টাকা রোজগার করা হোত। রীতিমতো মধুচক্রের ফাঁদ পাতা হোত এই অফিস থেকে বলেও অভিযোগ। একইসঙ্গে ব্ল্যাকমেইল করেও টাকা নেওয়া হোত বলে অভিযোগ। কোতোয়ালি থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। সেইমতোই শুরু হয় তদন্ত।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে এলাকায় অভিযান চালান জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার। অভিযান চালানো হয় ওই বাড়িতে। ঘটনাস্থল থেকে ১৯ জন মহিলা, ২জন পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয় ৪০টির বেশি মোবাইল ফোন। জলপাইগুড়ির পুলিশসুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, “এখানে কল সেন্টারের আড়ালে সেক্স র‍্যাকেট চলত বলে অভিযোগ আসে। লোকজনকে প্রতারণা করা হোত বলে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। তারই ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার অভিযান চালানো হয়। সে সময় অফিসে ১৯ জন মহিলা ছিলেন। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হয় তাঁদের।

অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “২১ জন অভিযুক্ত ছিলেন। তার মধ্যে ২ জন দীপঙ্কর মণ্ডল ও রানা সরকারকে এই ব্যবসার মালিক হিসাবে দেখানো হয়। ওনাদের অবশ্য বক্তব্য এর মালিক অন্য একজন। তাঁরা ম্যানেজার ছিলেন। ১৯ জন মহিলা কর্মী ছিলেন। এরা বেতন নিয়ে কাজ করা কর্মী। এরা কোনও ফোন কল করেনি, টাকাও রিসিভ করেনি। টাকার নেওয়ার কোনও প্রমাণ যেখানে নেই সেখানে তছরূপের অভিযোগ খাটে না। তাই ১৯ জনই জামিন পেয়েছে। বাকি দু’জনের জামিন নাকচ হয়েছে। ৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন।”

বিল্ডিং ম্যানেজার তন্ময় দে বলেন, “আমরা জানতাম এখানে ইনটেরিয়ার ডিজাইনিংয়ের অফিস চলে। ওরা দরজা বন্ধ করে কাজ করত। আমরা কোনওদিন ভিতরে ঢুকে কিছু দেখিনি। বৃহস্পতিবার পুলিশ এসে নিয়ে যায় ২০-২২জনকে। দু’জন ছেলে। বাকি সবই মহিলা। কোনও প্রতারণাচক্র চলত বলেই হয়ত ধরেছে।”

আরও পড়ুন: ‘বারান্দায় বসে দেখি বাড়ির উপর ড্রোন উড়ছে’, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দু অধিকারীর ভাইয়ের

Next Article