DA Agitation: জলপাইগুড়িতে ডিআই-এর সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদ প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের

Nileswar Sanyal | Edited By: Soumya Saha

Mar 14, 2023 | 5:27 PM

Jalpaiguri: সোমবার প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা শাখার পক্ষ থেকে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে তাদের ৫ দফা দাবিপত্র তুলে দেওয়া হয়। এই দাবি পেশের সময় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়।

DA Agitation: জলপাইগুড়িতে ডিআই-এর সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদ প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের
ডিআই-এর সঙ্গে দেখা করলেন প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকারা

Follow Us

জলপাইগুড়ি: মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলনে সামিল প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূলপন্থী শিক্ষক নেতা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মঙ্গলবার ডিআইকে স্মারকলিপি জমা দিলেন প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে ডিআই-এর সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদ জড়িয়ে পড়েন প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকারা। উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ মহার্ঘভাতার দাবিতে যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকে সমর্থন করে রাজ্য জুড়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের অরাজনৈতিক সংগঠন অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স ও হেড মিস্ট্রেসেস। ওই দিনে জলপাইগুড়ি সুনীতি বালা সদর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুতপা দাসও আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। সেই দিন তিনিও স্কুলের অন্যান্য শিক্ষিকাদের সঙ্গে স্কুলে গেটে দাঁড়িয়েছিলেন।

অভিযোগ সেই দিন বেলা ১১ টার কিছু আগে তৃণমূলপন্থী শিক্ষক সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক অঞ্জন দাস স্কুলের গেটে আসেন। অভিযোগ প্রধান শিক্ষিকাকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি। ওইদিন রাতেই জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অঞ্জন দাস লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। নিজেকে উচ্চমাধ্যমিকের জয়েন্ট কনভেনার হিসেবে পরিচয় দিয়ে অঞ্জনবাবু অভিযোগ জানান, তিনি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে স্কুলে গিয়েছিলেন। তাঁকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে। তাঁর এই দাবি ঘিরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সোমবার প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা শাখার পক্ষ থেকে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে তাদের ৫ দফা দাবিপত্র তুলে দেওয়া হয়। এই দাবি পেশের সময় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়।

প্রধান শিক্ষক সংগঠনের জেলা সম্পাদক ক্ষৌণিশ গুহ বলেন, ‘অঞ্জন বাবু যদি জয়েন্ট কনভেনার হিসেবে গিয়ে থাকেন তবে তাঁর গলায় সেদিন আই কার্ড ছিল না কেন? আর কেনই বা সেদিন তিনি স্কুলে গিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের তথ্য না নিয়ে জোড় করে পিকেটিং ভেঙে দিচ্ছিলেন?’ এবিটিএ-র জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায় সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘একজন শিক্ষক হয়ে স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষিকা সহ অন্যান্য শিক্ষিকাদের সাথে উনি সেদিন অভব্য আচরন করেছেন। একইসঙ্গে উনি সরকারি পদকে ব্যবহার করে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইছেন।’ অঞ্জন দাসকে জয়েন্ট কনভেনার পদ থেকে অপসারণের দাবিও তোলা হয়েছে।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বালিকা গোলে বলেন, ‘ওনারা একটি দাবিপত্র আমার কাছে দিয়েছেন। পাশাপাশি দু’পক্ষের কাছ থেকেই আমি এফআইআর কপি পেয়েছি। বিষয়গুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

Next Article