Jalpaiguri : ভাঙছে নদী-পাড়, ঝুলছে বাড়ি

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jun 21, 2022 | 8:16 PM

Jalpaiguri : হাগরী খোলা নদীতে তীব্র স্রোতে বয়ে চলেছে জল। আর তার জেরে ভাঙছে নদী পাড়। একটি বাড়ির নীচের প্রায় অর্ধেক অংশের মাটি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে।

Jalpaiguri : ভাঙছে নদী-পাড়, ঝুলছে বাড়ি
নদীর পাড় ভাঙায় কার্যত ঝুলছে বাড়ি

Follow Us

জলপাইগুড়ি : কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি। বিপর্যস্ত জনজীবন। বৃষ্টিতে বেড়েছে নদীর জলস্তর। ভাঙছে নদী পাড়। আর তার জেরেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে নদীর পাড়ে বাস করা পরিবারগুলির। হাগরী খোলা নদীর পাড় যেভাবে ভাঙছে, তাতে যেকোনও মুহূর্তে নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে বাড়ি। তাই, নিজেদের বাড়ি থেকে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন জলপাইগুড়ির মেটেলি ব্লকের আইভিল চা বাগানের আগ্নু লাইনের আতঙ্কিত বাসিন্দারা।

গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। ভুটান পাহাড়েও লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। ভুটান পাহাড় থেকে জল নেমে আসায় একাধিক নদীতে জলস্ফীতি বেড়েছে। নদী থেকে জল জনবসতি এলাকায় ঢুকেছে। জলপাইগুড়িতে বিঘের পর পর বিঘে জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। রাস্তাঘাটের উপর দিয়ে বইছে জল। আর জল পেরিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

আজ আইভিল চা বাগানের আগ্নু লাইনে দেখা গেল, হাগরী খোলা নদীতে তীব্র স্রোতে বয়ে চলেছে জল। আর তার জেরে ভাঙছে নদী পাড়। একটি বাড়ির নীচের প্রায় অর্ধেক অংশের মাটি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। কার্যত বাড়িটি নদীর উপর ঝুলছে। আরও তিনটি বাড়ি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।

কুলদীপ খেরিয়ার বাড়ির একাংশ নদীতে ঝুলে রয়েছে। বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে কিনু ওরাওঁ, ডুলি ওরাওঁয়ের বাড়িও। আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে পরিবারগুলো।

কুলদীপ খেরিয়া বলেন, “আমি চা বাগানে শ্রমিকের কাজ করি। আমার বাড়ির অর্ধেকটা নদীতে চলে গিয়েছে। বিডিও অফিসের তরফে একটা স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়ে। কত দিন এই স্কুলে থাকব আমরা জানি না। সরকারি ভাবে একটা ব্যবস্থা করলে ভাল হয়।”

জলের তীব্র স্রোতে ভাঙছে নদী পাড়

এদিকে, বাঁশের সাঁকো ভেঙে বাগানের জরিপ লাইন ও আগ্নু লাইনের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি ও পানীয় জল সরবরাহের পাইপ। নদীর প্রবল জলোচ্ছ্বাসে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ওই এলাকার বাসিন্দারা। কুর্তি নদীর জল ঢুকেছে মিঠাইধুরা এলাকায়ও। সনগাছি বস্তি লাইনের কয়েকটি বাড়িও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে মেটেলি ব্লক প্রশাসন।

Next Article