ধূপগুড়ি: টিউশানি থেকে পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন উচ্চ-মাধ্যমিক পড়ুয়া। অভিযোগ, সেই সময় দুই যুবক বাইকে চড়ে সেখানে আসে। এরপর তাকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জলপাইগুড়ির বারঘড়িয়ার মনতা পাড়া এলাকা। পুলিশের দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের মৃদু লাঠিপেটার অভিযোগ। এই ঘটনায় মাথা ফেটেছে একজনের। পুলিশের হাতে আটক ২।
জানা গিয়েছে, বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাংধরি এলাকায় গত দু’দিন আগে বোনের সঙ্গে টিউশনি থেকে পড়ে ফিরছিলেন ওই উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। সেই সময় দুই যুবক বাইকে চড়ে এসে তাঁদের উত্তক্ত করে। যেহেতু তারা বাইকে ছিল সেই কারণে এক প্রকার তাদের পাকড়াও করতে পারেননি নির্যাতিতা। দু’দিন পর অর্থাৎ আজ ওই যুবকদের সঙ্গে ফের ওই পরীক্ষার্থীর দেখা হল পথ আটকায় পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের।
ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। এমনকি উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের দুটি গাড়ির জানালার কাজ ভেঙে যায় উত্তেজিত জনতার ছোড়া পাথরে। উত্তজনা থামাতে পুলিশ হালকা লাঠিপেটা করে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।। এই ঘটনায় ১ জনের মাথা ফেটে যায়। আহত অবস্থায় তাকে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। এলাকায় পৌঁছেছেন ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ মজুমদার। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনিও।
এই বিষয়ে নির্যাতিতা বলেন, “দুদিন আগে আমাকে উত্তক্ত করে চলে যায়। এরপর থেকে খুঁজছিলাম আমরা। পরে বাবার সঙ্গে বেরিয়ে ওই ছেলেটির সঙ্গে দেখা হয়। সেখানেই গন্ডগোল শুরু হয় দুই পক্ষের।”