জলপাইগুড়ি : প্রায় ২০ কেজি কচ্ছপের মাংস উদ্ধার করল বন দফতর। শনিবার বন দফতরের নাথুয়া রেঞ্জের আধিকারিকরা বানারাহাট ব্লকের নাথুয়াহাটের পুরাতন বাজার এলাকায় হানা দিয়েছিলেন। সেই অভিযান থেকেই উদ্ধার করা হয় এই বিপুল পরিমাণ কচ্ছপের মাংস। বাজার এলাকায় দুই যুবক ওই কচ্ছপের মাংস বিক্রি করতে এসেছিল। বন দফতরের নাথুয়া রেঞ্জের আধিকারিকদের অভিযানে বিপুল পরিমাণ কচ্ছপের মাংস উদ্ধার করা গেলেও ঘটনাস্থলে থেকে পালিয়ে যায় ওই দুই যুবক। ওই দুই যুবকের খোঁজ চালানো হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে বন দফতরের অনুমান, আশপাশের এলাকার কোনও নদী থেকে বিশাল আকারের কচ্ছপটিকে ধরা হয়েছিল। তারপর কচ্ছপগুলিকে মেরে সেগুলির মাংস বিক্রি করার চেষ্টা করছিল ওই দুই যুবক। বন দফতরের কাছে আগে থেকেই সেই বিষয়টি নিয়ে খবর ছিল। সেই খবরের ভিত্তিতে শনিবার সকালে নাথুয়াহাটের পুরাতন বাজার এলাকায় অভিযান চালান নাথুয়া রেঞ্জের আধিকারিকরা। বন দফতরের কর্মীদের প্রাথমিকভাবে অনুমান, ডায়ানা ও মূর্তির জঙ্গল লাগোয়া নদী থেকে এই কচ্ছপ ধরা হয়ে থাকতে পারে। তারপর সেটিকে মেরে তার মাংস বাজারে নিয়ে এসে চড়া দামে বিক্রি করার চেষ্টা চলছিল।
কচ্ছপ মেরে মাংস কাটার বিষয়টি জানতে পেরে এলাকারই কোনও এক ব্যক্তি খবর দেন বন দফতরের কর্মীদের। মরাঘাট রেঞ্জার রাজকুমার পাল জানিয়েছেন, “খবর পাওয়া মাত্র নাথুয়া রেঞ্জের আধিকারিকরা সেখানে যাই। জায়গাটি একটি গলির মধ্যে। আমাদের যেতে দেখে ওরা এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। আমরা গিয়ে দেখি, ততক্ষণে কচ্ছপটিকে কেটে ফেলেছিল। কচ্ছপের মাংস পড়ে ছিল। সেটির পেটে ডিম ছিল। সেগুলি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই জন জড়িত ছিল বলে জানা গিয়েছে।” বন দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, একটিই কচ্ছপ ছিল। উদ্ধার হওয়া ওই বিপুল পরিমাণ কচ্ছপের মাংস বর্তমানে নাথুয়া রেঞ্জে রাখা হয়েছে। এই ঘটনার আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।