জলপাইগুড়ি: তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। ‘চোর ধরো, জেল ভরো’ স্লোগান দিয়ে সরব রয়েছে রাজ্যের শাসকদল। কোচবিহারের লজ্জা বলে ঘাসফুল শিবির আক্রমণ শানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আদালতকে সম্মান জানিয়ে তৃণমূলকে পাল্টা আক্রমণ করলেন কোচবিহারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। তিনি বলেন, “আদালতকে আমরা সম্মান করি। তবে এগুলো মিথ্যে মামলা। রাজনীতিতে এরকম মিথ্যে মামলা হয়। রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধেও এরকম মামলা রয়েছে।” চাকরি ইস্যুতে রাজ্যকে খোঁচাও দিলেন।
মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের রাধাবাড়ি BSF ক্যাম্পে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ। রোজগার মেলা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের ১০ লক্ষ যুবককে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ৭১ হাজার যুবকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল। সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে জলপাইগুড়িতে ৭৬৭ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী।
বেকার যুবক-যুবতীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ করলেন নিশীথ। বলেন, “একদিকে প্রধানমন্ত্রী বেকার যুবতীদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিচ্ছেন। ঠিক তখনই ন্যায্য চাকরির দাবিতে কলকাতার রাজপথে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা পুলিশের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন। কষ্ট হয় এই রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের দুর্দশা দেখে।”
দেশে বেকারত্ব দূর করতে প্রধানমন্ত্রী প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে মন্তব্য করেন নিশীথ। বলেন, “ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন দেশের ১০ লক্ষ যুবক ও যুবতীকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। সেই মতো রোজগার মেলা কর্মসূচির মাধ্যমে গত মাস থেকে নিয়োগপত্র দেওয়া শুরু হয়েছে। আজ দ্বিতীয় পর্যায়ে ৭১ হাজার যুবক যুবতীকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরে নিয়োগপত্র প্রদান করা হল। দফায় দফায় এভাবেই ১০ লক্ষ মানুষের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে।”
সম্প্রতি নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আলিপুরদুয়ার আদালত। ২০০৯ সালে একটি সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় নাম জড়িয়েছিল নিশীথ প্রামাণিকের। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। আজ এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে নিশীথ বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে এমন মামলা হয়। তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধেও এমন মামলা রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।