জলপাইগুড়ি: টিভি-৯ বাংলার খবর জেরে অবশেষ নড়েচড়ে বসল ধূপগুড়ি পৌর কর্তৃপক্ষ। বন্ধ করা হল বেআইনিভাবে চলা বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কাজ। তুলে ধরেছিল জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি নিয়মকে অমান্য করে বেআইনিভাবে গড়ে উঠেছে বহুতল। সামনে এসেছে অভিযোগ। একদিন আগেই সেই খবর তুলে ধরেছিল টিভি নাইন বাংলা। অভিযোগ, কোথাও বিল্ডিং প্ল্যান পাস না করেই চলছিল বিল্ডিং তৈরি, আবার কোথাও নিয়মের তোয়াক্কা না করে দু’তলার বেশি বিল্ডিং তৈরি করার অনুমতি না থাকলেও সেখানে তৈরি হয়েছে পাঁচতলা বিল্ডিং। সেই খবর টিভি নাইন বাংলা সম্প্রচার করতেই নড়েচড়ে বসল পৌর কর্তৃপক্ষ। ক্যামেরার সামনে চেয়ারপার্সন জানান তিনি জানতেনই না এত বড় বিল্ডিং তৈরি হয়েছে। অথচ বিল্ডিং প্লানে তাঁরই সই রয়েছে।
পৌরসভার তরফে নিয়ম রয়েছে ধূপগুড়িতে জি প্লাস দু’তলার বেশি ঘর নির্মাণ করা যায় না। অথচ টিভি নাইন বাংলার হাতে আসা নথিতে দেখা যাচ্ছে পাঁচ তলা বিল্ডিংয়ের প্ল্যান পাশ করেছে পৌরসভা। আর সেই প্ল্যানে সই রয়েছে ধূপগুড়ি পৌর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সনের। টিভি নাইন বাংলার এই খবরের সত্যতা মেনে নিয়েছেন খোদ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য তথা জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার সাধারণ সম্পাদক অরূপ দে। তাঁর দাবি, ধূপগুড়ি শহরে জি প্লাস টু বিল্ডিং করার নিয়ম রয়েছে আজও পর্যন্ত। অথচ কিছু কিছু জায়গায় শহরে এই বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। যা দেখার দায়িত্ব পৌরসভার চেয়ারম্যানের।
যদিও এ ঘটনা নিয়ে পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সনের সাফাই, তিনি জানতেন না সেখানে বিল্ডিং তৈরি হয়েছে। তাঁকে না জানিয়ে প্ল্যানে সই করানো হয়েছে। এবং তিনি না দেখেই সই করেছেন। এমনই সাফাই দিয়েছেন খোদ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্যও। এর থেকে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ভূত? এখন দেখার শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে পৌরসভার তরফে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।