ধূপগুড়ি: ফোঁস ফোঁস শব্দ হতেই চমকে উঠেছিলেন বাড়ির লোকজন। ভাতের হাঁড়িটা সবে তুলতে যাচ্ছেন আর তখনই ডান হাতে কামড়। কিন্তু, ক্ষুদ্রাকায় প্রাণিটিকে দেখেও চিনতে পারেননি কেউ। আগে কখনও দেখেছেন বলেও মনে করতে পারেননি। প্রাণিটাকে বস্তাবন্দী করে আহতকে নিয়ে সোজা হাসপাতালে চলে যান পরিবারের লোকজন। শোরগোল পড়ে যায় ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা খবর দেন ধূপগুড়ির পরিবেশ প্রেমী সংস্থা ডুয়ার্স নেচার অ্যান্ড স্নেক লাভার্স অর্গানাইজেশনের সদস্যদের। তারপরই জানা যায় আসল জিনিসটা।
সূত্রের খবর, যে প্রাণিটি উদ্ধার হয়েছে সেটি আদপে লুপ্তপ্রায় চাইনিজ ফেরেট ব্যাজার। পরিবেশপ্রেমীরা জানাচ্ছেন, লোকালয়ে এগুলিকে বিশেষ দেখা যায় না। দেখতে অনেকটা কাঠবিড়ালির মতো। মূলত গভীর জঙ্গলে, পাহাড়ি এলাকায় নদীর পাশে থাকে। কিন্তু, সেটি কীভাবে একেবারে ধূপগুড়ির লোকালয়ে ঢুকে পড়ল তা বুঝতে পারছেন না কেউ। এদিকে চাইনিজ ফেরেট ব্যাজারের কামড়ে আহত হয়েছেন ধূপগুড়ির ভীম রায়। তিনি বলছেন, এই প্রাণী আমরা এর আগে কখনও দেখিনি। কোথা থেকে এল বুঝতে পারছি না। আশপাশে তো জঙ্গলও নেই। বেশ খানিকটা ভয়ে রয়েছি আমরা।
পরিবেশপ্রেমীরা জানাচ্ছেন, এই ফ্রেট ব্যাজার লম্বায় সাধারণত ১৪ থেকে ১৬ ইঞ্চির মতো হয়। গায়ের রং হয় মূলত কালো। উপরে সাদা দাগও থাকে। লেজটি দেখতে অনেকটা কাঠবেড়ালির মতো। এমনিতে শান্ত স্বভাবের হলেও রেগে গেলে কামড়াতে দেখা যায়। প্রাণীটিকে ইতিমধ্যেই লাল তালিকাভুক্ত করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক বন্যপ্রানী সংরক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজার্ভেশন অফ নেচার। এদিকে ঘটনার পরই খবর যায় মরাঘাট রেঞ্জের সোনা খালি বিটের বনকর্মীদের কাছে। ইতিমধ্যেই তাঁরা ফ্রেট ব্যাজারটিকে উদ্ধার করেছেন। শীঘ্রই সেটিকে সোনাখালি জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে খবর।