TMC Inner Clash: তৃণমূলের এক গোষ্ঠীই বলছে, ‘পুজোই সার, কাজ হবে না!’, হাতাহাতিতে উত্তপ্ত হল বিন্নাগুড়ি
TMC Inner Clash: অভিযোগ, সূচনা অনুষ্ঠানের পরই বিক্ষোভের মুখে পড়েন জনপ্রতিনিধিরা। এক গোষ্ঠীর বক্তব্য ছিল, শুধু এই পুজোই সার, কাজ আর হবে না।
জলপাইগুড়ি: এলাকায় পাকা রাস্তা হবে। সেই প্রকল্পকে ঘিরে গ্রামবাসীরও উৎসাহ রয়েছে স্বাভাবিকভাবেই। পরিকল্পনা মতো সোমবার কাজের সূচনাও হয়। নারকেল ফাটিয়ে পুজোর ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল। জেলা পরিষদের সভাপতির হাতে সেই সূচনা হওয়ার পরই আচমকা বদলে গেল এলাকার চেহারা। বচসা, হাতাহাতিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বকুয়াবাড়ি। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের (TMC) দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই এমন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত বিন্নাগুড়ি অঞ্চলের বকুয়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে একটি পাকা রাস্তা তৈরি করা হবে। সোমবার সেই প্রকল্পের সূচনা হয়। সোমবার দুপুরে এই পুজো দিয়ে রাস্তার কাজের সূচনা করেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ সহ অন্যান্যরা।
অভিযোগ, সূচনা অনুষ্ঠানের পরই বিক্ষোভের মুখে পড়েন জনপ্রতিনিধিরা। এক গোষ্ঠীর বক্তব্য ছিল, শুধু এই পুজোই সার, কাজ আর হবে না। আর এই কথা শুনে উত্তেজিত হয়ে পড়েন অন্য গোষ্ঠীর কর্মীরা। শুরু হয় চরম উত্তেজনা। হাতাহাতি অবধি হয় ওই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে।
ঘটনায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ বলেন, আমরা যতক্ষণ ছিলাম, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও গণ্ডগোল হয়নি। রাস্তা উদ্বোধন করে আমি অন্য জায়গায় চলে যাই। পরে কী হয়েছে, তা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই খোঁজ নেব ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।
বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সদস্য শ্যাম প্রসাদ বলেন, ‘তৃণমূলের নীচুতলার কর্মীরা নিজেদের নেতাদের ওপরই আস্থা হারাচ্ছেন, তাই এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।’ আসলে তৃণমূল ক্রমেই জন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এদিনের ঘটনা তারই উদাহরণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।