ধূপগুড়ি: রাজ্যে প্রথম খুচরো লটারি বিক্রেতাদের (lottery sellers of North Bengal) নিয়ে সংগঠন তৈরি করল তৃণমূলের (Trinamool Congress) শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি (INTTUC)। প্রসঙ্গত, শাসকদলের ছাতার তলায় লটারি বিক্রেতাদের এতদিন কোনও স্থায়ী সংগঠন ছিল না। কিন্তু, সংগঠনের দাবি বারবারই উঠেছিল। ওয়াকিবহালের মতে, লটারি বিক্রেতাদের দাবিকে প্রাধান্য দিয়েই খুচরো লটারি বিক্রেতাদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে সংগঠন তৈরি করল তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্তে লটারি বিক্রেতাদের কমিশন কমিয়ে দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। ধূপগুড়ি সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় লটারির বিক্রি বন্ধ রেখেছেন বিক্রেতারা। এবার তাঁরা আন্দোলনে নামারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে খবর। আর এই কারণেই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির অধীনে লটারি বিক্রেতাদের সংগঠন তৈরি হল। এই প্রথম ধূপগুড়ি থেকেই লটারি বিক্রেতাদের সংগঠনের পথচলা শুরু হল। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলা আইএনটিটিইউএসসির সভাপতি রাজেশ লাকড়া ও ধূপগুড়ি টাউন ব্লক আইএনটিটিসির সভাপতি আলম রহমানের উপস্থিতিতে ২৫০ জন লটারি বিক্রেতা এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন। আগামীতে জেলাজুড়ে ৩০০০ জন লটারি বিক্রেতা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
লটারি বিক্রেতা স্বপন দাস বলেন, “দিনভর ঘুরে ঘুরে লটারি টিকিট বিক্রি করি। টিকিট বিক্রির যে লাভ হয় এবং পুরস্কারের যে কমিশন তা দিয়েই সংসার চলে। সাম্প্রতিককালে আমাদের কমিশন অর্ধেকের থেকেও কম করে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে লটারি বিক্রি করে সংসার চালানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁরা এই মুহূর্তে লটারি বিক্রি ছাড়া অন্য কোনও কাজ করতে পারবেন না। এই কারণেই তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন।”
লটারি বিক্রেতাদের স্পষ্ট দাবি তাঁদের কমিশন আগের জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। জলপাইগুড়ি জেলা আইএনটিটিউসির সভাপতি রাজেশ লাকরা বলেন, “লটারি বিক্রেতাদের সমস্যায় দল তাদের পাশে রয়েছে। আর এই কারণেই এইসব লটারি বিক্রেতাদের একত্রিত করতে তাদের একটি সংগঠনের নীচে আনা হল। দ্রুত একটি কমিটি তৈরি করা হবে। প্রয়োজনে আগামীতে রাস্তায় নেমে তাঁদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনও করা হবে।”