Jalpaiguri: ‘টাকা রাখ, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরবি….’ নোটের বান্ডিলের ছবি-সহ কমিশনে অভিযোগ সিপিএমের
Jalpaiguri: জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন করলা ভ্যালি চা বাগানের বাসিন্দা চা শ্রমিক রুবিনা মুণ্ডা। তিনি ওই চা বাগান থেকে সিপিএম দলের অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন নির্বাচিত সদস্য। সিপিএমের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে রুবিনাকে তৃণমূলে যোগদান করাবার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখাচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।

জলপাইগুড়ি: তৃণমূলে যোগদান করাতে আদিবাসী পঞ্চায়েত সদস্যাকে টাকার বান্ডিল দিয়ে প্রলোভন দেখানোর অভিযোগ। টাকার ছবি-সহ কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সিপিএম। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন করলা ভ্যালি চা বাগানের বাসিন্দা চা শ্রমিক রুবিনা মুণ্ডা। তিনি ওই চা বাগান থেকে সিপিএম দলের অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন নির্বাচিত সদস্য। সিপিএমের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে রুবিনাকে তৃণমূলে যোগদান করাবার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখাচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। কিন্তু তিনি চাপের মুখে নতি স্বীকার করেননি।
অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ রুবিনার বাড়িতে দলবল নিয়ে চড়াও হয় কৃষ্ণ দাস, রাজা মণ্ডল, প্রধান হেমব্রম-সহ জনা তিরিশেক লোক। রুবিনার বাবা-মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রুবিনার বয়ান অনুযায়ী, কৃষ্ণ দাসরা জোর করে তাঁর বাবা শ্রী মোহন মুণ্ডার ঘরে ঢুকে পড়েন এবং তাঁদের বিছানায় ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল ফেলে দিয়ে চিৎকার করতে থাকেন। রুবিনার দাবি অভিযুক্তরা হুমকি দেন, “আমরা তোদের টাকা দিচ্ছি। আমাদের নির্দেশ মতো কাল তৃণমূলের ঝান্ডা ধরবি। নইলে বিপদ আছে।”
রাতেই গোটা বিষয়টি সিপিএম নেতৃত্বকে জানান রুবিনা। তারপর তাঁদের সঙ্গে নিয়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সিপিএম প্রার্থী। বর্তমানে রুবিনা বাড়িতে নেই। অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মন বলেন, “ধমক চমকে কাজ হয়নি। এখন ভোটের মুখে একজন বামপন্থী আদিবাসী মহিলা জন প্রতিনিধিকে টাকার প্রলোভন দিয়ে কিনে নেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল নেতারা। তার বাড়িতে গিয়ে টাকার বান্ডিল দিয়ে এসেছে। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করলাম। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের দারস্থ হয়েছি। পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেছে। যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।”
SFI-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, “তৃণমূলের হুমকি ও প্রলোভনের কাছে আমাদের এই আদিবাসী মহিলা নেত্রী নিজের মেরুদণ্ড বিক্রি করে দেয়নি। উলটে প্রতিবাদ করেছেন। আমরা ওঁর লড়াইকে কুর্নিশ জানাই।”
বিষয়টিকে সাজানো ঘটনা বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃনমূলের জেলা কমিটির সদস্য তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, “তৃণমূলের অবস্থা এতটা করুণ হয়ে যায়নি, যে সিপিএম নেতাকে টাকা দিয়ে দলে আনতে হবে। আসলে তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য এই কাজ করছে সিপিএম। কিন্তু লাভ হবে না। মানুষ তৃণমূলের পক্ষে রয়েছে।”
