Jalpaiguri Child Death: মায়ের দুধ খাচ্ছিল শিশুটি, ‘হঠ্ করে শরীর হয়ে গেল নীল’…ভয়ঙ্কর পরিণতি ৩ দিনের শিশুর

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 05, 2021 | 7:16 AM

Jalpaiguri: "আমরা বারবার ডাক্তারকে দেখতে আসার জন্য বলি। নার্সদিদিদেরও ডাকি। কিন্তু ওরা আমাদের কথায় কান দিল না।"

Jalpaiguri Child Death: মায়ের দুধ খাচ্ছিল শিশুটি, হঠ্ করে শরীর হয়ে গেল নীল...ভয়ঙ্কর পরিণতি ৩ দিনের শিশুর
জলপাইগুড়িতে সদ্যোজাতর মৃত্যু (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

জলপাইগুড়ি: সদ্য়োজাতর মৃত্য়ু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল ধূপগুড়ি (Dhupguri) গ্রামীণ হাসপাতালে। চিকিত্সকদের গাফিলতিতেই সদ্যোজাতর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। সোমবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ধূপগুড়ির বিডিও। যায় পুলিসও।

ফের চিকিৎসকদের গাফিলতির কারণে তিন দিনের শিশুকন্যার মৃত্যুর অভিযোগ উঠল ধূপগুড়িতে। তিনদিনের কন্যা সন্তানের মৃত্যু বলেই দাবি পরিবারের। জানা গিয়েছে, বানারহাট ব্লকের নাথুয়ার বাসিন্দা রেশমা পারভিন গত শনিবার ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন।

শনিবার রাত ১ টায় শিশু কন্যার জন্ম দেন। সোমবার সকালে শিশুটিকে পোলিও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এরপরই শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে বলে পরিবারের অভিযোগ। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ শিশুকন্যাটির মৃত্যু হয়।

পরিবারের লোকের অভিযোগ, ভ্যাকসিন দেওয়ার পর বাচ্চার অবস্থার অবনতি হতে দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসককে বার বার ডাকেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, একাধিকবার ডাকা সত্ত্বেও চিকিৎসক এবং নার্স তাঁরা কেউ শিশুটিকে দেখতে আসেননি। সন্ধ্যার পর থেকে আরও অসুস্থ হতে থাকে শিশুটি। তখনও আবার ডাকা হয় চিকিত্সককে। কিন্তু তাঁদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

রাতে মৃত্যু হয় সদ্যোজাতর। একপ্রকার বিনা চিকিত্সাতেই সদ্যোজাতর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। সদ্যোজাতর মৃত্যুর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। সদ্যোজাতর বাবা তহিদুল ইসলাম বলেন, ” মেয়ে আমার সুস্থই ছিল। কিন্তু আজ পোলিও ভ্যাকসিন দেওয়ার পর থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শরীরটা কেমন যেন নীল হয়ে যাচ্ছিল। আমরা বারবার ডাক্তারকে দেখতে আসার জন্য বলি। নার্সদিদিদেরও ডাকি। কিন্তু ওরা আমাদের কথায় কান দিল না।”

চিকিত্সার গাফিলতিতেই তাঁর মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তহিদুলের। খবর
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। গভীর রাত পর্যন্ত মৃত দেহ কী করা হবে তা নিয়ে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

এইদিকে মৃতের পরিবারের লোকেরা রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তবে একে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিত্ ঘোষ বলছেন একেবারেই অন্য কথা। তিনি বলেন, “খবর পেয়ে আমি যখন হাসপাতালে আসি, দেখি শিশুটিকে সিপিআর করা হচ্ছিল। শিশুটির শ্বাসরুদ্ধ হয়েছিল। আমরা সব সময়ই বলে থাকি, দুধ খাওয়ানোর সময়ে কখনও শুয়ে খাওয়াবেন না। কিন্তু শিশুটির মা শুইয়ে দুধ খাওয়াচ্ছিলেন। দুধ খাওয়ানোর পর পীঠে চাপড়ে ঢেঁকুড় তোলানোর কথাও বলি আমরা। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটাও করা হয়নি। যখন চিকিত্সকরা ওকে সিপিআর করাতে নিয়ে আসেন, ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে শিশুটির।” প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে জলপাইগুড়িতেই ঠিক একই কারণে এক সদ্যোজাতর মৃত্যু হয়। তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়়ায়।

আরও পড়ুন: Coal Scam: কয়লা ব্যবসায়ী লালার চার ‘ঘনিষ্ঠের’ আরও চারদিন সিবিআই হেফাজত

Next Article