জলপাইগুড়ি: কলেজে বার ডান্সার অভিযোগ কাণ্ডে তিন সদস্যের কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দিল উচ্চ শিক্ষা দফতর। প্রসঙ্গত, গত জুন মাস থেকে জলপাইগুড়ি কমার্স কলেজের প্রিন্সিপাল এবং কলেজের অধ্যাপক,অশিক্ষক কর্মীদের একাংশের মধ্যে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। বিভিন্ন ইস্যুতে দফায় দফায় দুপক্ষের মধ্যে বচসা হচ্ছিল। তার জেরে কলেজেও অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। বিরুপ প্রভাব পড়েছে কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যেও। এবার সেই সমস্যা কাটাতে উদ্যোগী হল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১৫ জুন। ওইদিন বিকেলে কলেজের অধ্যাপকদের একাংশ প্রিন্সিপ্যালেরং বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলে। তাঁরা কলেজে বিক্ষোভও দেখান।
কলেজের অধ্যাপিকা মৌমিতা সেনগুপ্ত অভিযোগ করেন, তাঁরা ওয়েবকুপা সংগঠন করবেন বলে প্রিন্সিপালের কাছে যান। সেইসময় প্রিন্সিপ্যাল তাঁদেরকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন কলেজে কোনও সংগঠন করা যাবে না। এবং একই সঙ্গে প্রিন্সিপ্যাল বলেন তাঁদের তিনি চাকরি দিয়েছেন। আর তিনি যদি চাকরি না দিতেন, তবে তাঁরা নাকি বার ডান্সার হতেন। প্রিন্সিপ্যালের এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায় কলেজে। প্রিন্সিপ্যালের মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয় জোর বিতর্ক।
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রিন্সিপাল ডক্টর সিদ্ধার্থ সরকার। তাঁর বক্তব্য,যাঁরা এই ধরনের অভিযোগ করছেন, তাঁরা কি আদৌ কোনও প্রমাণ দিতে পারবেন?
অধ্যাপকদের অভিযোগের খবর প্রকাশিত হয় সংবাদমাধ্যমেও। তার রেশ পড়ে শহর জুড়ে। প্রিন্সিপ্যালের পদত্যাগ চেয়ে কলেজে ফ্লেক্স লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কোতয়ালি থানায়, সাইবার থানায় অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ দায়ের হয়।
ঘটনায় অস্বস্তি শুরু হয় তৃণমূলের অন্দরেও। এরপর তৃণমূলের জেলা সভাপতি মহুয়া গোঁপ তৃনমূল ল সেলের জেলা সভাপতি গৌতম দাসকে কলেজের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ঠিক কী নিয়ে গণ্ডগোল, তার একটি রিপোর্ট দলীয় ভাবে চেয়ে পাঠান। নির্দেশ পেয়ে অনুসন্ধান করে রিপোর্ট পাঠিয়ে দেন জেলা সভাপতির কাছে।
এরপর বুধবার বিকেলে উচ্চশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়, জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কলেজ অব কমার্সে ঘটে চলে। ঘটনা নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর তদন্তের জন্য কলেজে আসতে চলেছেন।