জলপাইগুড়ি: বুধবার কলকাতায় তাঁদের হাইভোল্টেজ কর্মসূচি। শহিদ মিনারের ডিএ মঞ্চের ১১০ মিটারের মধ্যেই আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। মাঝে স্রেফ টিনের ব্যারিকেড। অশান্তি এড়াতে তৎপর কলকাতা পুলিশ। এই পরিস্থিতিতেই জলপাইগুড়িতে ডিএ আন্দোলনকারীরা বার করলেন মিছিল। সেই মিছিল থেকেই রাজ্য সরকারকে বার্তা দিলেন ‘শিরদাঁড়া বিক্রি নেই…’ কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-এর দাবিতে গত ১০ মার্চ ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন বামপন্থী সরকারি কর্মচারীরা। পরবর্তীতে রাজ্য সরকার ধর্মঘটীদের শোকজ় নোটিস দেয়। নবান্ন থেকে ৬জন কর্মচারী নেতৃত্বকে অন্যত্র বদলি করে।
সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বামপন্থী শিক্ষকেরা। মঙ্গলবার বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ জলপাইগুড়ির তরফে ধর্মঘটে সামিল হওয়া শিক্ষকরা শোকজের উত্তর জমা দিতে মিছিল করেন। সেই মিছিল শহর ঘুরে ডি আই জলপাইগুড়ির দফতরে পৌঁছয়। এরপর লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত প্রায় আড়াইশো মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক তাঁদের শোকজের উত্তর দেন।
এবিটি-এর জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায় বলেন, “মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষকরা সরকারের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলনের সামিল হয়েছেন। ধর্মঘট করেছেন। তাঁদের শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এর উত্তর আজ তাঁরা দিলেন। ডিএ র দাবিতে আগামী দিনে আন্দোলন আরও জোরদার হবে।”
শিক্ষকরা তাঁদের শোকজের জবাবা একাধিক পন্থায় গিয়ে দিয়ে এসেছেন। কোথাও দেখা গিয়েছে ঢাক ঢোল পিটিয়ে, কোথাও আবার আবির খেলে শোকজের জবাব দিতে গিয়েছেন শিক্ষকরা। তবে রাজ্য সরকারের শাস্তির মুখে পড়ে আন্দোলনের আরও ঝাঁঝ বাড়িয়েছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। আগামী এক সপ্তাহে তাঁদের একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ মার্চ মহাসমাবেশে যোগ দেবেন সরকারি কর্মীরা। পাশাপাশি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, ওইদিন গণছুটি নিয়ে শিয়ালদা এবং হাওড়া থেকে মিছিল হবে। সেই মিছিলে হেঁটে আন্দোলনকারীরা যোগ দেবেন শহিদ মিনারের ধরনামঞ্চে। অন্যদিকে, আগামী ১০ ও ১১ এপ্রিল দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসার কথা আছে আন্দোলনকারীদের। সব মিলিয়ে শহরের রাজপথের আন্দোলনের আঁচ যেমন ছড়িয়ে পড়েছে জেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে, তেমনই এবার তা পৌঁছতে চলেছে দিল্লিতেও।