জলপাইগুড়ি: ২ বছর ধরে অসুস্থ। কিন্তু বনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, হাতিকে লোকেট করা সম্ভব হচ্ছিল না। অসুস্থ হাতি গত এক মাস ধরে দাঁড়িয়ে নদী সংলগ্ন গ্রামের সীমানা এলাকায়। দেখভাল করছিলেন গ্রামবাসীরা। বনদফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। এবার যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে অসুস্থ হাতির চিকিৎসার প্রস্তুতি শুরু করেছে বনদফতর। নাথুয়া রেঞ্জের খেরকাটা জঙ্গলে অসুস্থ হাতির শুক্রবার ফের চিকিৎসা করা হবে। ইতি মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে পশু চিকিৎসকদের। আনা হয়েছে গুরুমারা জাতীয় উদ্যান থেকে তিনটি কুনকি হাতিও। ফুলমতি, ভোলানাথ ও কাবেরি নামের হাতিদের পাহারায় এদিন তৃতীয় দিনের চিকিৎসা চলছে। ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না সাধারণ গ্রামবাসীদের। মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী। অসুস্থ হাতিটিকে খেড়কাটা জঙ্গল থেকে সরিয়ে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে বন দফতর।
শুক্রবার প্রথমে পোষা হাতির সাহায্যে অসুস্থ হাতিটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। আগের থেকে ভালো থাকলে এদিনই তাকে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। আর তাই চলছে প্রস্তুতি। বৃহস্পতিবার থেকে জেসিবি মেশিনের সাহায্যে নদী দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। বড় গাড়ি করে হাতিটিকে এদিন অন্যত্র নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। যেখানে রেখে নিয়মিত চিকিৎসা করার চিন্তা ভাবনা করছেন বন কর্মীরা।
অননারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী বলেন, “আজকে জলপাইগুড়ি টিউটোরালের ডিএফও ও ওয়াইল্ড লাইফের এডিএফও-রা এসেছিলেন চিকিৎসকদের দল নিয়ে, তাঁরা আজকে হাতিটিকে দেখেছেন। চিকিৎসকরা এখানে তিন দিন থেকে চিকিৎসা করবেন। হাতিটি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে। মন্ত্রী নিজেই বিষয়টির তদারকি করছেন।”