জলপাইগুড়ি: রাজ্য শিক্ষা দফতরের নির্দেশে জলপাইগুড়ি জেলার ১৪ জন গ্রুপ ডি কর্মীকে নোটিস পাঠাতে সংশ্লিষ্ট স্কুল গুলিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির ডিআই। নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার নিজেই জলপাইগুড়ি প্রধান ডাকঘরে যান জলপাইগুড়ি কালিয়াগঞ্জ উত্তমেশ্বর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাঁর স্কুলের এক গ্রুপ ডি কর্মীর নাম রয়েছে ওই তালিকায়। তাঁকে ডাক যোগে নোটিস ধরিয়ে দেন তিনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, “আমাকে স্কুলের সেক্রেটারি বলেন, ডিআই অফিস থেকে হাইকোর্টের অর্ডার নিয়ে একটি চিঠি এসেছে। আমরা আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে চিঠি করেছি। এটা আদালতের বিচার্য বিষয়।”
হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে চাকরি খোয়াতে পারেন রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে কাজ করা ১৬৯৮ জন গ্রুপ ডি কর্মী। তাঁদের মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলায় ১৪ জন রয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। তাঁদের নামের তালিকা সম্প্রতি এসে পৌঁছেছে জলপাইগুড়ির ডিআই শ্রীমতী বালিকা গোলের কাছে। নির্দেশ পেয়ে তিনি তালিকায় থাকা স্কুলগুলিকে ওই ১৪ জনকে নোটিস পাঠাতে ইমেল মারফৎ নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, নির্দেশ পেয়ে সমস্ত স্কুলগুলির প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন তিনি।
জানা যাচ্ছে, স্রেফ সাদা খাতা জমা দিয়ে ২০১৮ সালে গ্রুপ ডি-র চাকরি পেয়েছেন এমন ১৪ জনের হদিশ মিলেছে জলপাইগুড়ি জেলায়। সম্প্রতি একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। ওই তালিকায় নাম রয়েছে রাজগঞ্জ ব্লকের যশোধর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক মহিলা গ্রুপ ডি কর্মী। গ্রুপ ডি কর্মী হিসাবে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর নামটা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ তাঁর স্বামী আবার এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। যদিও বিতর্কিত ওই গ্রুপ ডি কর্মীর বক্তব্য ছিল, তাঁর কোনও ভয় নেই। কারণ তিনি সাদা খাতা জমা দেননি।