Jalpaiguri: রোগীর শরীর দিয়ে বেরোচ্ছে দুর্গন্ধ, ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে আশ্রয় বাকি রোগীদের
Jalpaiguri: মঙ্গলবার ওই ব্যক্তি ময়নাগুড়ি নতুন বাজার হাটের মধ্যে পড়েছিলেন। দীর্ঘ সময় হাটের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়নাগুড়ি হাসপাতালের নিয়ে যাওয়া হয়।

জলপাইগুড়ি: এক রোগীর গায়ে এমনই দুর্গন্ধ! নিরুপায় হয়ে মধ্যরাতে ওয়ার্ড ছেড়ে রাস্তায় আশ্রয় নিলেন অন্য রোগীরা। পায়ে সংক্রমক ও দুর্গন্ধ নিয়ে এক রোগী ময়নাগুড়ি হাসপাতালে আসার পর দুর্গন্ধের ঠেলায় স্যালাইন হাতে বাইরে রাস্তায় চলে আসলেন রোগীরা। কেউ আশ্রয় নেয় প্রতীক্ষালয়ে। রোগী ও পরিজনেরা ক্ষুব্ধ। তারা ময়নাগুড়ি-রামশাই রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেন। কেউ কেউ ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। কেউ আবার দীর্ঘ সময় বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে আরও বেশী অসুস্থবোধ করায় কান্নায় ভেঙে পড়েন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। দীর্ঘ সময় রোগীরা বাইরে থাকার পর পায়ে সংক্রামক ওই রোগীকে হাসপাতালের অন্য ঘরে স্থানান্তরিত করা হয়। তারপর বাকি রোগীরা ওয়ার্ডে প্রবেশ করে। মঙ্গলবার রাতে এহেন ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় ময়নাগুড়ি হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, ওই রোগীর নাম অনীল হাজরা ( ৬৫)। তিনি ডান পায়ে সংক্রমণ নিয়ে ভুগছেন। মঙ্গলবার ওই ব্যক্তি ময়নাগুড়ি নতুন বাজার হাটের মধ্যে পড়েছিলেন। দীর্ঘ সময় হাটের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়নাগুড়ি হাসপাতালের নিয়ে যাওয়া হয়। ময়নাগুড়ি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে।
রোগীকে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়ার মত কেউ না থাকার কারণে ফের ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসেন হাসপাতালের কর্মীরা। তাঁকে রাখা হয় ময়নাগুড়ি হাসপাতালের মেল ওয়ার্ডে। আর এই সময় মেল ওয়ার্ডে প্রায় ১৫ জন রোগী ভর্তি ছিল।ওই বয়স্ক রোগীকে মেল ওয়ার্ডে আনার পর থেকে শুরু হয় দুর্গন্ধ। সমস্যায় পড়েন অন্য রোগীরা। পরে পুলিশ এসে অন্য রোগীদের বুঝিয়ে ওয়ার্ডে রাখেন। ওই রোগীর পরিবারের লোকেদের খোঁজ চালাচ্ছেন প্রশাসনের কর্তারা।
ময়নাগুড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সীতেশ বর জানান “হাসপাতালে আসা প্রত্যেক রোগী আমাদের কাছে সমান। পায়ে সংক্রমক নিয়ে আসা রোগীকে মেল ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। যেহেতু অন্য রোগীরা সমস্যার অভিযোগ জানাচ্ছেন সে কারণে ওই রোগীকে মেল ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে হাসপাতালের অন্য ঘরে রাখা হয়েছে।”

