Jalpaiguri Leopard: পিছনে থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে চিতাবাঘ, আর সামনে থেকে হাতি, মৃত্যুকে এক তুড়িতে জয় করলেন ওঁরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 07, 2022 | 9:19 AM

Jalpaiguri Leopard: সোমবার বিকেলে নাগরাকাটার গাঠিয়া চা বাগানের অসম লড়াই শুনে অবাক হবেন আপনিও।

Jalpaiguri Leopard: পিছনে থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে চিতাবাঘ, আর সামনে থেকে হাতি, মৃত্যুকে এক তুড়িতে জয় করলেন ওঁরা
চিতাবাঘের হামলার আহত যুবক

Follow Us

জলপাইগুড়ি: একদিকে চিতাবাঘ। অন্যদিকে হাতি। ওই দুই বুনোর হামলায় জখম হলেন মোট ৩ জন। চিতাবাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ায়, পাল্টা তার ওপরেও লাফিয়ে পড়েন ওই মহিলা। রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়। চিতাবাঘের সঙ্গে একা একজন মেয়ে লড়ছে দেখে বাকিরা তাঁকে সাহায্য করতে এসেছিলেন।  তাঁকে বাঁচাতে ছুটে এলে হাতির হামলায় আহত হন আরেক শ্রমিক। অন্য দিকে একটি দল ছুট দাঁতালের চোখা দাঁতে আহত হন এক চাষি। সোমবার বিকালে নাগরাকাটার গাঠিয়া চা বাগানে ঘটনাটি ঘটেছে।

বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, গাঠিয়াতে একটি জল নিকাশি নালায় কাজ করছিলেন লক্ষ্মী ওরাওঁ নামে এক মহিলা শ্রমিক। হঠাৎ পেছন থেকে একটি চিতাবাঘ তাঁর ওপর লাফিয়ে পড়ে। নিজেকে বুনোটির খপ্পড় থেকে বাঁচাতে লক্ষ্মী আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকেন। কয়েক মিনিট ধরে ওই ধ্বস্তাধস্তি চলে। ওই দৃশ্য দেখে পাশেই কর্মরত শুভম ওরাওঁ নামে এক শ্রমিক মহিলাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে এলে চিতাবাঘটি তাঁর ওপরেও হামলা চালায়। পরে অন্য শ্রমিকদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে জন্তুটি চা বাগানের ঝোপে ঢুকে যায়। তাঁদের পিঠে, গালে ও মুখে চিতাবাঘটি থাবা বসায়। আহত দু’জনকে উদ্ধার করে সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বর্তমানে দু’জনেই বাগানের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুই আহতের বাড়ি বাগানের মাতু লাইনে।

গাঠিয়ার ম্যানেজার নবীন মিশ্র জানান, বন দফতরকে খাঁচা পাতার আবেদন করা হয়েছে। অন্যদিকে হৃদয়পুর বস্তিতে হাতির দাঁতে যে ব্যক্তি জখম হন তাঁর নাম সেলুকাস ওরাওঁ। সোমবার গভীর রাতে একটি দলছুট দাঁতাল ওই গ্রামে ঢুকলে তিনি হাতিটির সামনে পড়ে যান। বরাত জোরে প্রাণে বাঁচলেও তাঁর কাঁধের নীচে গভীর ক্ষতর সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে তিনি মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বন দফতরের বন্যপ্রাণ শাখার খুনিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার সজল দেবনাথ বলেন,  চিতাবাঘ থেকে সুরক্ষিত থাকতে চা বাগানের শ্রমিকদের দল বেঁধে কাজে যাওয়া ও সেই সঙ্গে বাগানের ভেতর ঢোকার আগে আশপাশ দেখে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ শাখার রেঞ্জার শুভাশিস রায় বলেন,  “হাতির গতিবিধির প্রতি সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে।” এদিকে আংড়াভাসা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পার্বতী ছেত্রী বলেন,  “গোটা তল্লাট হাতি উপদ্রুত। প্রাণ হাতে করে বাসিন্দারা রাত কাটাচ্ছেন।”

Next Article