জলপাইগুড়ি: তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। শীতের সন্ধ্যায় অন্ধকার একটু বেশিই গাঢ় হয়। চা বাগানের ঘুটঘুটে অন্ধকারে চির ধরাচ্ছিল বাইকের হেডলাইট। পাশেই চা বাগান। মাঝে সরু রাস্তা। বাইক চলছিল দ্রুত গতিতেই। হয়তো ওই এলাকায় বিপদের আশঙ্কা করেই দ্রুত পেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন চালক। তাঁর পিছনে ছিলেন বন্ধু। আচমকাই ঝপ্ করে বাইকের ওপর লাফিয়ে পড়ে এক জন্তু। বোঝা যায় চিতাবাঘ। বন্ধুকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সফল হয়নি। চলন্ত বাইকের ওপর চিতাবাঘের হামলার ঘটনায় রীতিমতো স্তম্ভিত ডুয়ার্সের বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে নাগরাকাটা গ্রাস মোড় চা বাগান লাকায়।
জানা যাচ্ছে, নাগরাকাটা ব্লকের গ্রাসমোড় চা বাগান থেকে বাইকে করে নিজের বাড়ি আসার পথে চিতাবাঘের আক্রমণে আহত হন এক যুবক। ওই যুবককে সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেন। তাঁর গায়ে হাত পায়ে আঁচড় লেগেছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় শরিফুল হক ও সাইরুল ইসলাম বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। সাইরুল বাইক চালাচ্ছিলেন। শরিফুল পিছনে বসে ছিলেন। সেই সময় চা বাগানের পাশে রাস্তার ধারে অন্ধকারে ঝোপের মধ্যে ছিল একটি চিতাবাঘ। বাইক কাছে আসতেই তাঁদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে চিতাবাঘটি। শরিফুল বাইক থেকে পড়ে যায়। সেই সময় চিতাবাঘটি তাঁর পায়ে কামড়ে দেয়।
সে সময় সাইরুল আচমকাই মোটরসাইকেলের লাইট জ্বালিয়ে জোরে হর্ণ বাজান। এরপর ভয়ে চিতাবাঘটি পালিয়ে যায়। সাইরুল শরিফুলকে নিয়ে সুলকাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।