জলপাইগুড়ি: ক্ষতবিক্ষত সারা শরীর। রক্ত শুকিয়ে কালচে হয়েছে। পাশেই পড়ে রয়েছে আরও একটি শরীর। সেটিও রীতিমতো ক্ষতবিক্ষত। মুখে একাধিক ক্ষত। সাতসকালে জঙ্গলের পাশে একটি চিতাবাঘ আরেকটি ছাগলের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের চা বাগানে। শুক্রবার সকাল বেলা চা বাগানের শ্রমিকরা বাগানের জি-১ কম্পার্টমেন্টে কাজ করতে গেলে প্রথম চিতাবাঘের মৃতদেহটি দেখতে পান। প্রথমে তাঁরা ঘুমন্ত চিতাবাঘ ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বেশ কিছুক্ষণ তাঁরা বিষয়টি লক্ষ্য করেন। ভালভাবে দেখলে তাঁরা বুঝতে পারেন চিতাবাঘটি মৃত্যু হয়েছে।
এরপর তাঁরা সাহস করে চিতা বাঘটির কাছে যান। কাছে গিয়ে দেখতে পান চিতাবাঘের গোটা শরীর ক্ষত বিক্ষত। রক্ত বের হচ্ছে তা থেকে। পাশেই একটি ছাগল মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে চা শ্রমিকদের অনুমান ছাগল নিয়ে দুই চিতাবাঘের লড়াইয়ের কারণে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনদফতরের কর্মীরা। এদিকে চা-বাগান কর্তৃপক্ষের তরফে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের কর্মীদের খবর দেওয়া হয়েছে। বনকর্মীরা গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। আর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট হবে কী কারণে মৃত্যু হয়েছে এই চিতাবাঘটির।
কিছুদিন আগে জলপাইগুড়ির বানারহাটের গ্যান্দ্রাপাড়া চা বাগান এলাকায় এক চিতাবাঘের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। গ্যান্দ্রাপাড়া চা বাগানের ৫২ বি সেকশনে বাগানের শ্রমিকরা একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘকে বাগানের মধ্যেই মৃত অবস্থায় দেখতে পান। সেক্ষেত্রে বন দফতরের কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান ছিল, গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়ে চা বাগানে আশ্রয় নিয়েছিল চিতাবাঘটি। পরবর্তীতে সেখানেই মৃত্যু হয়। অথবা কীটনাশক মিশ্রিত কোনও খাবার খেয়েও মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে বনকর্মীদের একাংশের মত ছিল। কিন্তু এভাবে শিকার নিয়ে মারামারিতে চিতাবাঘের মৃত্যুর ঘটনা সাধারণত কম শোনা যায়।