জলপাইগুড়ি: ময়নাগুড়িতে মেয়ের বান্ধবীকে অশ্লীল মেসেজ পাঠানো কাণ্ডে নয়া মোড়। পাল্টা বিস্ফোরক দাবি করলেন অভিযুক্ত। অভিযুক্তের দাবি, তিনি রাজনীতির শিকার।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দাবি করেছেন, তিনি আরএসপি দলের জেলা কমিটির সদস্য ও বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাই তিনি শাসকদলের রোষানলের শিকার। তিনি শাসকদলের বিভিন্ন দুর্নীতি বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে সরব হন। তাই ময়নাগুড়ি পৌরসভা ভোটের মুখে তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, তাঁর বাড়িতে গত ৬ বছর ধরে মেয়েটি যাতায়াত করে। তার মোবাইল ফোন তাঁর মেয়ে ও তার বান্ধবী দুজনেই ব্যাবহার করত।
ঘটনায় তৃনমূলের ময়নাগুড়ি ব্লক সভাপতি মনোজ রায় পাল্টা বলেন, “ওঁ এখন এই নোংরা ঘটনার থেকে পার পেতে রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টা করছেন। আইন আইনের পথেই চলবে।” তবে এবিষয়ে বাম নেতৃত্বের তরফে এর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত ও তাঁর শ্যালককে জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়েছে।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
মেয়ের বান্ধবীকে অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর অভিযোগে মঙ্গলবার ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্তের মেয়ের সঙ্গে বাড়িতে এসেছিল নিগৃহীতা। অভিযোগ, এরপর থেকে লাগাতার ফেসবুকে মেয়ের বান্ধবীকে অশ্লীল মেসেজ পাঠাতে থাকেন বছর পঞ্চাশের অভিযুক্ত।
প্রায় একমাস ধরে ফেসবুক, মেসেঞ্জারে আপত্তিকর মেসেজ পাঠাতেন বলে অভিযোগ। নিগৃহীতা নাবালিকার বয়ান অনুযায়ী, প্রথম বিষয়টি এড়িয়ে যায় সে। পরে দেখতে পায়, আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বান্ধবীর বাবা। ফেসবুক থেকে তারই ছবি নিয়ে সুপার ইম্পোজ করে পাঠাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ।
এরপর বাড়ির লোককে বিষয়টি জানায় নাবালিকা। এরপর ওই নাবালিকার দাদা ও আরও এক জন অভিযুক্তের বাড়ি যান। বিষয়টি নিয়ে কথা বাড়তেই উত্তেজনা তৈরি হয়। অভিযোগ, অভিযুক্তের শ্যালক তাঁদের লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটান। নাবালিকার দাদার পীঠে একাধিক ক্ষত তৈরি হয়। সেটি তিনি ক্যামেরার সামনেও দেখান।
এরপরই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে ও তাঁর শ্যালককে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: খুনে অভিযুক্ত কর্মীকে খুনই করা হয়েছে, অভিযোগ বিজেপির! গঙ্গারামপুর কাণ্ডে নতুন ‘টুইস্ট’