জলপাইগুড়ি: বাড়ির সিঁড়ির নীচ থেকে ফোঁসফোঁস শব্দ কানে আসছিল বাড়ির কর্তার। রাত তখন অনেকটাই। প্রথমে বিষয়টা বিশেষ আমল দেননি বাড়ির সদস্যরা। কিন্তু ঘন ঘন সে শব্দ কানে আসতেই তাঁরা বিপদ আঁচ করতে পেরেছিলেন। সিঁড়ির কোণায় টর্চের আলো ফেলতেই শিউরে ওঠেন প্রত্যেকে। কুণ্ডলি পাকিয়ে সিঁড়ির নীচে বস্তার আড়ালে রয়েছে গোখরো সাপ। পেট ফুলে রয়েছে তার। টর্চের আলো জোরাল হতেই ফণা তুলে রাখছে। বাড়ি থেকে উদ্ধার হল গোখরো সাপ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি ২১ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাড়িতে।
২১ নম্বরের ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক যুবকের বাড়ি থেকে গোখরো সাপটি উদ্ধার হয়। ওই যুবক জানিয়েছেন, রাতের খাবার পর তিনি সিঁড়ি দিয়ে উঠে দোতলায় যাচ্ছিলেন। তখনই ফোঁস ফোঁস শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রথম দিকে খুব একটা তোয়াক্কা করেননি। রাতে আলো নিভিয়ে দেওয়ার পর সেই শব্দ আরও বেশি করতে শুনতে পান। আলো জ্বালিয়ে সিঁড়ির কোণে উঁকি দিতেই বিষয়টি সামনে আসে।
ততক্ষণে খবর ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের বাড়িগুলিতেও। সাপ দেখতে ভিড় জমান প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় পরিবেশপ্রেমী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরীকে। তিনি গিয়ে সাপটিকে উদ্ধার করেন। তিনি জানান, সাপটি কিছুক্ষণ আগেই একটি বড় ব্যাঙ গিলে খেয়েছে। ফলে সমস্যা তার পেট মোটা হয়ে গিয়েছে। সাপটি নড়তে পারছিল না। তাই এক জায়গাতেই কুণ্ডলী পাকিয়ে বসেছিল। টর্চের আলো পড়তেই ফণা তোলে সে। পরিবেশকর্মী জানিয়েছেন, এটি একটি স্পেকটিক্যাল কোবরা ছিল। সাপটিকে উদ্ধার করে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও সাপ সংক্রান্ত একাধিক সচেতনমূলক বার্তা দেন তিনি।