জলপাইগুড়ি: তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের মিছিল। আর তাতেই গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে মাল মহাকুমার ক্রান্তি ব্লকে। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন উত্তরবঙ্গ সফরে ঠিক সেই মুহুর্তে মাল মহকুমার প্রান্তিক ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার মালবাজারে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। ঠিক সেই সময় মালবাজার মহকুমার ক্রান্তি এলাকায় তৃণমূলের বর্তমান ব্লক সভাপতি মহাদেব রায়ের বিরুদ্ধে ধিক্কার মিছিল করেন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মেহেবুব আলম। যা নিয়ে দানা বেঁধেছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
জেলার তৃণমূল অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, পদ বদলের সময় থেকেই বর্তমান তৃণমূল ব্লক সভাপতি ও প্রাক্তন ব্লক সভাপতির বনিবনা ছিল না। আর যার কারণে দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী সফরকালেই দলের বিরুদ্ধেই তৃণমূলের বিক্ষোভ মিছিল হল।
মেহবুব আলম দীর্ঘদিন ক্রান্তি ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ছিলেন। কিছুদিন আগে রাজ্য নেতৃত্ব বিভিন্ন ব্লকের সভাপতিদের পরিবর্তন করেন। আর সেই তালিকায় ছিলেন মেহবুব আলম। মেহবুবকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হয় মহাদেব রায়কে। আর তারপর থেকেই গোষ্ঠী কোন্দল চরমে ওঠে।
এর আগে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মেহবুব আলম গোষ্ঠীর তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তবে এদিন মুখ্য়মন্ত্রীর সফরকালে সেই মহকুমার মধ্যেই তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বর্তমান ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে মিছিল করায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন ক্রান্তি ব্লকে প্রায় দু হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে বর্তমান তৃণমূল ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ধিক্কার মিছিল করেন মেহবুব আলমের গোষ্ঠী।
প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মেহবুব বলন, “২০১৯ সালে এখানে তৃণমূলের ভয়াবহ পরিস্থিতি ছিল, এখানে তৃণমূল লিড পায়, একুশ সালেও ঠিক তেমনই। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দল আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ভোটে লিড দিয়ে আমাদের বিধায়ককে জিতিয়েছিলাম।”
এ প্রসঙ্গে বর্তমান ব্লক সভাপতি মহাদেব রায় বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। যেদিন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমি দলের সকলকে নিয়ে কাজ করছি।আমি সকলের সমর্থন পেয়েছি। সংগঠনে যে ঘাটতি ছিল, তা অনেকটাই এখন পূরণ হয়েছে।”
অন্যদিকে, এই বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই ইস্যু করেছে বিজেপি। বিজেপির জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল। একদল টাকা পয়সা খেতে পাচ্ছে, আরেকদল পাচ্ছে না। এই নিয়েই লাঠালাঠি, মারামারি।”