মালবাজার: মালবাজারের হোটেলে এসে উঠেছিলেন এক ব্যক্তি। ব্রেকফাস্ট দেওয়ার জন্য হোটেলের এক মহিলা কর্মী তাঁর দরজায় কড়া নাড়ে। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এরই মধ্যে জানালায় উঁকি দেন মালিক। তখনই দেখেন উল্টো হয়ে শুয়ে রয়েছেন পর্যটক। তারপর আর বুঝতে বাকি রইল না কিছুই।
জানা গিয়েছে, শঙ্কর দত্ত নামে আলিপুরদুয়ারের এক বাসিন্দা জলপাইগুড়ির মালবাজারে এসে উঠেছিলেন। হোটেল কর্তৃপক্ষ জানান, ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধে নাগাদ তিনি হোটেলে আসেন। ১০২ নম্বর রুমে ওঠেন তিনি। এরপর সকালবেলা যখন ব্রেকফাস্টের জন্য তাঁকে হোটেল কর্মী ডাকেন, সেই সময় কোনও সারা শব্দ করেননি বলে দাবি সংশ্লিষ্ট হোটেলের মহিলা কর্মীর। সারাদিন পেরিয়ে গেলেও যখন শঙ্করবাবু রুম থেকে না বের হওয়ায় সন্দেহ হয় হোটেল কর্তৃপক্ষের। বেশ কয়েকবার ডাকাডাকি করার পরও সারা না মেলায় ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যেবেলা খবর দেওয়া হয় মালবাজার থানার পুলিশকে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে হোটেলের দরজা খুলে ভিতরে ঢোকেন। উদ্ধার হয় শঙ্করের দেহ।
ঘটনার বিষয়ে জানাজানি হতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে । পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালবাজার থানার পুলিশ। হোটেলের মালিকের অশোক জাসওয়াল বলেন, “সাড়ে ছ’টা নাগাদ হোটেলে ঢোকেন। ১০২ নম্বর রুমে উঠে ছিলেন। আমার হোটেলের এক কর্মী ওনাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনও সাড়া পাননি। এরপর আমি হোটেলে পৌঁছে দেখি সত্যি উনি সাড়া দেননি। এরপর জানলা দিয়ে উঁকি মেরে দেখি উল্টো হয়ে শুয়ে আছে। পুলিশকে খবর দিই।”